স্বর্ণা দাসের মৃত্যুতে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ

5

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ১৩ বছর বয়সি বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাসের নিহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কড়া প্রতিবাদ’ করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ১৩ বছর বয়সি বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহতের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে আজ (বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। আজ ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে এই ধরনের নিষ্ঠুর কাজের কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ এবং ঘটনাবলির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে’। খবর বিডিনিউজের
ওই দিন গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাশ জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাস ও সঞ্চিতা দাসের মেয়ে এবং জুড়ী নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্বর্ণা ও তার মা সঞ্চিতা দাসসহ কয়েকজন গত রবিবার রাত ৯ টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে স্বর্ণা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। লাশটি বিএসএফ নিয়ে যায়। গুলি থামার পর সঞ্চিতাসহ বাকিরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। তারা অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
পরে বিজিবি এসে স্বর্ণার পরিবারকে তার নিহতের খবর দেয়। এ ঘটনায় ত্রিপুরার ইরানি থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর স্বর্ণা দাসের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার বাবা পরেন্দ্র দাস। স্বর্ণার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
স্বর্ণার মৃতদেহ হস্তান্তর করার সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ইরানি থানার ওসি অরুণোদয় দাস, কৈলাস শহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী, স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।