স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দাবি চবি শিক্ষক সমিতির

5

চবি প্রতিনিধি

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ সংগঠনটি।
গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা জাতি গঠনের ভূমিকা রাখেন। তাদের ওপর যদি বৈষম্য হয়, তাহলে তারা কীভাবে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে? আমরা বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানাই।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবনমন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিল, তখন আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। পরে সুপার স্কেলের কথা বললেও সেটা কার্যকর হয়নি। যখনই আমরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর জন্য কথা বলতে যাই, তখন আমাদেরকে বলা হয়,‘আপনারা কেন সবার সাথে তুলনা করেন? আপনারা তো অতুলনীয়।’ আমরা তখনই কথা বলি, যখনই আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে আমাদের ওপর বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম করার প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। সর্বজনীন হয় তখন, যখন একটি রাষ্ট্রের সকল পেশার কার্যক্রমের সাথে যুক্ত মানুষকে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু যারা এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন, তারা বলছেন, এটা সর্বজনীন কিন্তু তারা এটাতে যুক্ত হতে চান না। তারা বলছেন এটাতে যুক্ত হোন, এটা খুবই ভালো কিন্তু আমরা যুক্ত হবো না।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহার, সুপার স্কেল চালু এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল- এ তিনটি আমাদের হৃদয়ের দাবি। আপনারা জানেন, একটি জাতি যখন এগিয়ে যায়, এর পেছনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ করার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে কিন্তু শিক্ষকদেরকে বঞ্চিত করে কি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব?
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী ১ জুলাইয়ের পর যোগদান করবেন, তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।