সীতাকুন্ডে ঘরের উঠানে গ্রেনেড, খেলছিল শিশুরা

9

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সম্প্রতি উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর এলাকার তমিজ উদ্দিন সারেং বাড়ির পুকুর খনন করে (কেটে) বাড়ির উঠানে দেয়। এরপর বৃষ্টিতে দেওয়া মাটি একটু ক্ষয়ে গিয়ে একটি ধাতব বস্তু দেখা গেলে বাড়িতে থাকা বাচ্চারা সেটি নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা শুরু করছিল। এমন সময় বিষয়টি বাড়িতে থাকা এক কিশোরের নজরে পড়লে সে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেন। পরে সীতাকুন্ড মডেল থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান। এরপর থানা পুলিশ বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের টিমকে খবর দিলে বিকালের দিকে নিষ্ক্রিয় করেন।
গতকাল রবিবার সকাল ১০ টার দিকে গ্রেনেডের সাদৃশ্যটি পাওয়া যায় সীতাকুন্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর এলাকার তমিজউদ্দিন সেরাং বাড়ি উঠানে। গ্রেনেডটি পাওয়ার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা এটি একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেডের সাদৃশ্য। যদি এটি বিস্ফোরিত হয় তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম গ্রেনেডটি উদ্ধার করে বিকালের দিকে নিষ্ক্রিয় করেন।
জানা যায়, উপজেলা সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর এলাকার তমিজউদ্দীন সেরাং বাড়ির উঠানে একটি পুকুর খনন করে উঠানে মাটি দেয়। ওই খনন করা মাটির মধ্যে একটি গ্রেনেড নিয়ে খেলছিল শিশুরা। এই বিষয়টি স্থানীয় আরাফাত হোসেন সাব্বির নামে এক কিশোর দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যায়। সৈয়দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন রিপন বলেন, কিছুদিন আগে বাড়ির পাশে একটি পুকুর খনন করে উঠানে মাটি দেয়। ওই মাটির মধ্যে গ্রেনেডের সাদৃশ্যটি নিয়ে ছোট ছোট শিশুরা খেলছিল। পরে পুলিশ এসে বস্তুটি উদ্ধার করে উনাদের নিয়ন্ত্রণ আনেন। এরপর বোমা ডিসপোজাল টিম বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে এসে ধাতব বস্তুটি গ্রেনেড আখ্যায়িত করে নিষ্ক্রিয় করেন।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা যাই,এরপর গ্রেনেড আকৃতির বস্তুটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি এবং বিষয়টি তাৎক্ষণিক বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে অবগত করি। বিকালের দিকে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন। নিষ্ক্রিয়ের সময় বিকট শব্দে চতুর্দিকে বিশ ফুট জায়গা মাটিতে তলিয়ে যায়। ধারণা করছি, ব্রিটিশের তৈরি গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে আকাশ থেকে নিক্ষেপ করলে পিন না খুলে অবিস্ফোরিত মাটিতে ঢুকে পড়ে। সম্প্রতি তমিজ উদ্দিনের বাড়ির পুকুর খনন করে উঠানে মাটি দিলে গ্রেনেডটিও মাটির সাথে পুকুর থেকে বাড়ির উঠানে দেয়। এরপর বাড়ির শিশুরা দেখতে পেয়ে ধাতব বস্ত্রটি নিয়ে খেলাধুলা শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির এক লোক দেখে সরকারি জরুরি সেবা সংস্থা—৯৯৯ ফোন দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনি।