সাতকানিয়ায় লিচুর ভাল ফলনে খুশি চাষীরা

8

মামুনুল হক, সাতকানিয়া

সাতকানিয়া উপজেলায় এ বছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছে। এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। এদিকে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা লিচুর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই লিচু বাগানে এসে ঘুরছেন, দেখছেন ও ফেরার সময় কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন লিচু।
সাতকানিয়ার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় চলতি বছর লিচু আবাদ হয়েছে ৪৫ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে ৪০ হেক্টর জমি পুরাতন ৫ হেক্টর জমিতে নতুন জাত। ফলন ধরা হয়েছে সম্ভাব্য ৩০৫ মে: টন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতকানিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয়েছে বিগত ২০ বছর আগে। উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকায় লিচুর চাষ হয়ে থাকে। এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে বোম্বাই, চায়না-৩ ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি এখানকার চাষিরা।
সাতকানিয়ার লিচু বেশ রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় চট্টগ্রাম শহরেও বেশ কদর রয়েছে। প্রকারভেদে বাগান থেকে একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ – ৩০০ টাকা দরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় প্রতিদিন সকাল ও বিকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে তা নিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের লিচু চাষী আবছার উদ্দীন বলেন, আমার লিচু বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরম পড়ার কারণে খুবই টেনশনে ছিলাম। শেষের দিকে বৃষ্টির কারণে দুশ্চিন্তা দুর হয়ে গেছে। বিগত ২০দিন ধরে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার করে লিচু বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে চলতি বছর তীব্র রোদ ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও কৃষকের চাহিদামত লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান সাতকানিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম জহির।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর লিচুর ফলন বাম্পার না হলেও মোটামুটি ভাল হয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায় লিচু চাষীরা ভাল দামে বাগানে ও বাজারে লিচু বিক্রি করছেন।