সাগরে নিখোঁজ বাঁশখালীর ৩ জেলের লাশ উদ্ধার

8

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে বাঁশখালীর ৩ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাছ ধরতে গিয়ে সাগরে ফিশিং ট্রলার ডুবে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের পাটুয়ার টেক এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশগুলো হচ্ছে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের টেকপাড়ার ৩নং ওয়ার্ডের ছৈয়দ নুরের ছেলে মো. নুরুল আমিন (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুন নুর মাঝি (৩৮), অন্যজন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী গ্রামের মো. হোছাইন (৩২)। গতকাল শনিবার নিজ নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ থেকে গত শুক্রবার সকালে আবদুল খালেকের মালিকানাধীন আল্লাহ মালিক ফিশিং ট্রলারটি ১৭ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সাগরে রওনা দেয়। শুক্রবার রাতে ফিশিং ট্রলারটি কক্সবাজারের ইনানী এলাকায় পৌঁছালে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় ট্রলারটি ডুবে গেলে মাঝিমাল্লারা সাগরে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অন্য জেলেরা বিভিন্নভাবে উপকূলে ফিরে আসতে পারলেও ৩ জেলের মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ বাঁশখালীর ৩ জেলের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা।
শেখেরখীল এলাকার শিক্ষক মাস্টার রেজাউল করিম জানান, বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার শের আলী কোম্পানী, মোজাম্মেল মাঝি, আমির হোছেন কোম্পানী ও আব্দুল খালেকের ৪টি ফিশিং ট্রলার গভীর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে মাঝি-মাল্লা (জেলে) নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকেই। এসময় আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলারটির নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের বাড়ি বাঁশখালীর শেখেরখীলের একই এলাকার বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশগুলো উদ্ধার করার পর আইনগত প্রক্রিয়া মেনে স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।