সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে

4

মিঞা জামশেদ উদ্দীন

জ্ঞাত বা অজ্ঞাত কারণে দুর্নীতি প্রবণ হয়ে উঠেছে সমগ্র দেশ। এটি এখন জাতির স্বভাবে পরিণত হয়েছে, ইচ্ছে করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়াটা-ই বড় মুশকিল; দেশের সর্বত্র আষ্টেপৃষ্ঠে আছে দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারীরা। অবশ্য অনেকের ধারণা, এসব প্রভাকান্ড কতদিন বা চলবে, দুদিন পর তো সবই আগের মত শীতল হয়ে যাবে- আমজনতার এ ধারণা একেবারেই অমূলক না। অথচ দুর্নীতি প্রতিরোধে এমন হাঁকডাক অতিতেও কম হয়নি , বাস্তবে এর কিছুর কিছুই হয়নি, কয়েকদিন পরে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় ব্যঘ্র শাবকরা।
গত কয়েকমাস ধরে সরকার দুর্নীতি প্রতিরোধে হুংকার দিচ্ছিল। এটি ছিল তাদের জিরোটলারেন্স দৃষ্টান্তে, পুলিশের এযাবতকালের দোর্দন্ড প্রভাবশালী এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ, তাঁকেও জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় আনা হয়েছে। রীতিমতো অবস্থার বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি; একইভাবে এনআরবি এর চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের অবস্থাও আরো শোচনীয়। পুত্রের কোরবানি ছাগল ক্রয় করার ঘটনাকে ঘিরে যতসব হট্টগোল বেঁধে যায় এবং অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের সকল উৎসহ ফাঁস হয়ে যায়। তিনিও আপাতত গা-ঢাকা দিয়েছেন। আরো যারা ধরাছোঁয়ার অন্তরালে রয়েছেন, তাদেরও অবৈধ পন্থায় অর্জিত সকল সম্পদসহ একের পর এক তথ্য ফাঁস হতে চলেছে। এরমধ্যে যারা তালিকায় পাইপ লাইনে আছে, তাদের বিরুদ্ধেও সাঁড়াশি অভিযানের প্রস্তুতি চলছে এবং সংগোপনে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই চলছে এবং এ সকল দুর্নীতি বাজদের চিহ্নিত করা এবং তাদের আয়ের বহির্ভূত জ্ঞাত ও অজ্ঞাত সম্পদের অনুসন্ধান চালানো। অবশ্য এটি ধারাবাহিক প্রকৃয়ার একটি অংশ। গত শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। যেই হোক, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে আমরা ধরবো। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এ দ্যর্থহীন ঘোষণায় আশা সঞ্চারিত হয়। জাতি হিসেবে মান-মর্যাদা তলানিতে পৌঁছেছে। শৌর্য-বীর্য-ঐতিহ্য ও হৃতগৌরব ফিরে আনতে হবে- জনগণকেও স্ব স্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।
তবে অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের শ্বেতপত্র প্রকাশ হওয়া। একইভাবে যারা কর্মরত আছেন, তাদের সম্পদের বিবরণী পেশ করা উচিত। তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। ব্যাক্তিবিশেষ সম্পদেরও শ্বেতপত্র প্রকাশ হওয়া উচিত বলে মনে করি। আজকাল যেভাবে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার ঘটনাও দৃষ্টান্ত স্বরুপ। সঙ্গে, এ প্রবণতা চরমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে বৈধ আয়ের উৎসহ ও স্বচ্ছতা প্রদর্শিত হওয়া উচিত এবং সর্বোচ্চ সম্পদ আহরণ বা সংরক্ষণ করতে পারে, অর্থাৎ কতটুকু পর্যন্ত বৈধ হতে পারে, সেটিও একটি মাত্র থাকা উচিত।
১৯৩২-৩৬ সালের দিকে, কৃষক প্রজাস্বত্ব আইন পাস হয়। শেরে বাংলা একেএম ফজলুর হক এ আইন পাস করেন। অর্থাৎ একজন ভূ-স্বামী সর্বোচ্চ ৩২ বিঘা জমি বলবৎ রাখতে পারবে; এরপর নিঃস্ব ও ভ‚মিহীন কৃষকদের দখলস্বত্ব অর্জিত হয়। এখন একে রাইয়ত স্বত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। এ অবস্থায় রাতারাতি কারো কারো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পাহাড় গড়ে ওঠেছে, যা কিনা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা সাংঘর্ষিক বলা যায়। আশ্চর্য হওয়ার মতো, বৈধ কোনো চাকরি না থাকার পরও শুধুমাত্র আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ অনেকের কাছে ইর্ষান্বিত পর্যায়ে। প্রশ্ন জাগে, কিভাবে তা সম্ভব হতে পারে। যা কিনা কোনভাবে পেটেভাতে চলা দায়। এমন এক ব্যক্তি কোটি টাকা ব্যয়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। সঙ্গে অদৃশ্যমান সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে এবং ওই নামে ব্যাংক- ব্যালেন্সও খতিয়ে দেখা উচিত, অন্যথায় কৌতূহল থেকে যায়- হ্যাঁ, এ হলো দুর্নীতির চরম হাল-অবস্থা। তৃণমূলপর্যায়েও দুর্নীতি ও অনিয়ম একাট্টা। কয়েকটি নমুনা বলতে পারি- যা কিনা অস্বাভাবিক প্রবণতা বলা যায়; দরুন, ন্যায় বিচারের আশায় কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, মামলাও দায়ের হয়েছে আইন সহকারী তো আছেনই; মাসে মাসে হাজিরা দেওয়ার রেওয়াজ আছে। অবশ্য এটি বিচার প্রক্রিয়ার নিত্যকার কর্মও বটে; এ হাজিরা দিতে গিয়ে রাজস্ব অথবা স্টাম দিতে হয়। সঙ্গে আইনজীবী ও তাঁর সহকারীকেও ফি দিতে হয়। এরপরও কেন বিচারকের অফিসসহকারী পেশকারকে টাকা দিতে হবে- এটি আজ আইনের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অথচ এ কর্মের জন্য যিনি নিয়োজিত, তিনি সরকারের রাজস্ব- বেতনভোগী। তারপরও-এ যৎসামান্য ২-১শ’ টাকা নিতে হয় কেন? অবশ্য, ইচ্ছে করলে তা পরিহার করা যায়; না, তা কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না, এমন পণ-মন তাদের। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে কেন ডিউটি কর্মকর্তাকে দুইশ’ টাকা দিতে হবে। এটি-ও কি পরিহার করা যায় না? বিআরটিসি থেকে লাইন্সেন নেয়া হয় প্রাইভেট যান হিসেবে, কিন্তু রাস্তায় চলে বাণিজ্যিক যান হিসেবে! অথচ ওই গাড়ি চলছে মাসোহা বা টোকেনের নিক্তিতে ! মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা নিষিদ্ধ। তবুও চলে। গাড়ির ফিডন্সেস নেই, তবু চলছে বছরের পর বছর ধরে। অনুমোদ আছে লোকেল সার্ভিসের। ডাইরেক্ট ইস্টিকার লাগিয়ে চলছে, ইচ্ছে মাফিক ভাড়াও চাপিয়ে দেয় যাত্রীদের ওপর। ঠেকায় কখনো যাত্রী মাঝপথে নামলে পুরো ভাড়া গুণতে হয়। আরো শত অনিয়ম পরিবহন জগতে। ট্রেনে টিকেট জন্য গেলে বলে, নেই, অর্থাৎ টিকেট বিক্র হয়গেছে। কিন্তু ট্রেন যখন স্টেশন থেকে ছাড়ে, তখন অধিকাংশ সিট খালি! আর বছর শেষে ট্রেনখাতে বিশাল অংকের লোকসান জাতির গাড়ে চাপতে হয়। এসিল্যান্ড সাহেবের অফিসের ফাইলের গতিও মন্থর। তারমধ্যে অফিস টাইমে অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। টিএসও সাহেবকেও অধিকাংশ সময়ে ভিজিটে দেখাযায়। বিশেষ করে উপজেলা সমন্বয় সভা ব্যতিতও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয় হতদরিদ্র রোগীরা। অর্থাৎ টিএসও উপস্থিতি মেলাবার। অন্যথায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, চারিদিকে তার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অন্য দপ্তরগুলোও ঢিমেতালে। এরমধ্যে যারা সময়মতো উপস্থিত থাকে, তাদেরও দেখাযায় ব্যস্ত সময় কাটাতে; ব্যস্তসময় হলো শুধু মোবাইলে গুতাগুতি। জিজ্ঞেস করলে, এড়িয়ে গিয়ে নানা অজুহাত দেখায়- এখন সময় নেই, পারবো না, ব্যস্ত; পরদিন আসেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডে তো সাগর-কুমিরের খেলা চলে। কোথাও বাঙা বেড়িবাঁধের কাজ থাকলে, সেটি শুষ্ক মৌসুমে হয় না। যখন ভর বর্ষা চলছে, তখনই মেরামতে নামে – যেন সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল অবস্থা। বর্ষার তোড়ে জ্বলে ভেসে যায় সবই; ঠিকই ভাগাভাগির দরকষিয়ে বিল উঠিয়ে নেয়। ১৭ জুন কোরবানি হলো। এ উপলক্ষে ময়মসল্লার আবশ্যকতা আছে; এ কথা সবার জানাশোনা। অথচ ১৪ জুন থেকে পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে দেখাদেয় অস্বাভাবিক আচরণ- ময়মসল্লার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়িতে থাকে। শুধু টোকেন বা ডিও এ হাত থেকে ওই হাত বদল হচ্ছিল- কেন ব্যবসায়ীদের এ লোকচুরির খেলা; কয়েকজন তো দু-একদিন গা-ঢাকা দিয়েছিল। এতে কৃত্রিম সংকটে পড়ে চট্টগ্রামে খাতুন গঞ্জের এ পাইকারি বাজার। যারা এসব নাটক মঞ্চস্থ করেছে, ওই সকল ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করা উচিত। না হলে, হালে- ভবিষ্যতেও আরো বড় ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি হবে।
জনপ্রতিনিধিদের হালচাল কেমন- একজন ওয়ার্ড মেম্বার বা কাউন্সিলর। তাঁরা যানা ব্যস্ততা দেখায়; যেখানে এদিকে-সেদিন হেঁটে সমস্যার সমধান করার কথা, সেখানে বাড়ে জনদুর্ভোগ। না, তাঁরাই একদা নিমজ্জিত হয় এসবে; এখন স্বশরীরে খবর দিলেও আসে না, আসলেও মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে, এতে যা হয় হুমকি-ধামকিতে দিতে হয় মোটরযানের তেল খরচ, অন্যথায় হবে উল্টো রীতি। এখন তো দেখছি, এলাকায় এলাকায় কালো কাঁচের গ্লাসের ঘেরা অফিস খোলে বসেছে; মেম্বর সাহেবের অফিসে কাজ কি? ওখানে বসে করেনটা কি, হয়তো এসব না বলাও ভালো- ধান্দার ফাঁদ পাতানো ছাড়া কি-বা কাজ থাকে তাদের। সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের সম্মুখের দুই পাড়া, ৭ নাম্বার ওয়ার্ড। পেশকার পাড়া ও দোয়াজীপাড়া গ্রাম। তারমধ্যে পেশকার ড্রেনজ ব্যবস্থা চরমে। পাড়ায় যে ড্রেন রয়েছে, সেটি ময়লা-ভাগড়াতে পরিণত হয়েছে। রীতিমতো ওইপথে নাক উঁচিয়ে চলা ছাড়া উপায় থাকে না। দোয়াজী পাড়াতেও জলবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। একব্যক্তি পানি দেয়াল দিয়ে পানি চলাচল পথ বন্ধ করে দেয়। এখন গড়ায় অলিমিজির পুকুরের ওপর দিয়ে। গত দুই বছর ধরে চলতে এ অবস্থা চলছে। এখন পুকুর থেকে পানি নিষ্কাশন পথে এক ব্যক্তি ঘর নির্মাণ করে বসে। এসব ঘটনা মেম্বার চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা জানে। অথচ তাঁরা উদ্যোগ নেয় না বলে কিছু হচ্ছে না। এতে জলবদ্ধতায় ভাসছে অলিমিজির বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবার। সেদিন সন্ধ্যায় একটি রেস্তোরাঁয় নাস্তা খেতে যাওয়া হয়। নাস্তা মানে পরেটা আর ডালভাজি। চট্টগ্রাম দেওয়ান হাট, দেওয়ান টাউয়ারের আলিফ রেস্তোরাঁয়। দুই পরেটা এক ভাজির বিল আসে একশ টাকা! ম্যানেজার বা ক্যাসিয়ারকে জিজ্ঞেস করা হয়, কিভাবে এত টাকা এলো, প্রত্যুত্তরে বলে ভাজি ৭০ টাকা, পরোটা ১৫ টাকা করে ৩০ টাকা; আবার জিজ্ঞেস করা হয়, ভাজি ৭০ টাকা ! তিনি প্রত্যুত্তরে বলে, হ্যাঁ। বললাম, দোকানে এসি আছে নাকি?
না। তাহলে এতবেশি কেন; এবার ম্যানেজার হেঁসে হেঁসে বলে, আমাদের বেতন, কর্মচারীর বেতন, দোকানভাড়া, সবই এখান দিতে হয়! প্রত্যুত্তর দিলম- শুধু ভাজি সব্জীর থেকে আপনাদের সবার বেতন, দোকান ভাড়া এবং মালিকের লাভলোকসান হয়ে থাকে… আবারো ম্যানেজার হাসে। গত সাপ্তাহে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে যাওয়া হয়। এটি নৌবাহিনী নিয়ন্ত্রিত। ওখানে হ্যালো চিটাগং নামে একটি রেস্তোরাঁও আছে। তবে প্রবেশে কড়াকড়ি- বিধিনিষেধ আছে। হোটেলটির মালিক পরিচিত-বন্ধু বলে সহজে যাওয়ার সুযোগ হয়। মালিক রাসেল উপল। তিনি একজন প্রথাবিরোধী শিল্পী, সুরকা ও গীতিকার। সঙ্গে বন্ধুবর গীতিকার ও বিনোদন সাংবাদিক আশিক বন্ধুও ছিলেন। আমরা দুঘণ্টা অবস্থান করি। বেশ পরিপাটি-অভিজাতা এলাকা। পুরো বোট ক্লাবটি এক অসাধারণ নান্দনিক পরিবেশ। পাশঘেঁষে বয়েগেছে কর্ণফুলী নদীর মোহনা। অদুর থেকে দেখাযায়, পালতোলা নৌক আর হুইশেল বাজি স্টিমার ও জাহাজ বের হতে। রাত ৯টার দিকে আমাদের ফেরা। কিন্তু রেস্তোরাঁয় কাস্টমার তেমন একটা চোখে পড়েনি। অবশ্য এখানকার কাস্টমারগুলোও ভিআইপি হয়ে থাকে। কেন এ মন্দা তা জানতে চাওয়া হয়নি- তবে বুঝতে আর বাকি রইলো না, দুর্নীতি দমনপীড়নে এর প্রভাব হয়তো এখানেও পড়েছে। দেশের অভিজাত হোটেল- রেস্তোরাঁগুলোর হাল- হকিয়ৎ এমন পরিণতি ঠেকেছে, বলতে হয়, তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না। বন্ধু রাসেল উপল জানালো, চিটাগাংয়ে একটি মাত্র, হ্যাঁ চিটাগাং রেস্তোরাঁ রয়েছে এখানে। ঢাকায়ও ছিল একটি, হ্যাঁলো ঢাকা রেস্তোরাঁ। এটি বছর ক্ষাণেক আগে বন্ধ হয়ে যায়। ১জুলাই চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøুতে যাওয়া। এক মানবাধিকার কর্মী তানিয়া শারমিনের আমন্ত্রণে যাওয়া। সঙ্গে ছিল নারী উদ্যোক্তা কেয়া আক্তার এবং বরাবরই গীতিকার আশিক বন্ধু। দেখাহয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গীতিকার জেকব ডায়েস। জেকবভাই পেশাগত ব্যস্ততায় ছিলেন। তিনি পিয়ানোতে সুর তোলেন। আর আমরা ছিলাম আমাদের মতো। বেশ কথা-আড্ডা হয়। সঙ্গে উঁকি দিয়ে দেখা রাত ৭ টা থেকে চলছিল একটি বিয়ে অনুষ্ঠান। এক ওয়ার্ড নেতা- জনপ্রতিনিধির মেয়ের বিয়ে-অনুষ্ঠান! বুঝতে পাচ্ছেন তো, রেডিশনে বিয়ে-অনুষ্ঠান মানে, চারটিখানি কথা নয়; আয়োজনেও কোনো কিছুর কমতি ছিলো না। এ পরিস্থিতিতে-এই ওয়ার্ড নেতা- জনপ্রতিনিধির সাহসের প্রশংসা করতে হয়। নবদম্পতির প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও দোয়া।
লেখক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক, কবি ও কলামিস্ট