সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু চন্দনাইশে

2

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

যে কোনো সময় ঘোষণা আসতে পারে দু’টি নির্বাচনের। এর একটি হচ্ছে জেলা পরিষদের চন্দনাইশ অংশের জেলা পরিষদ সদস্যপদে উপ-নির্বাচন, অন্যটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চন্দনাইশ অংশ তথা ১১নং ওয়ার্ডের জেলা পরিষদ সদস্য পদে উপ-নির্বাচন এবং উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তারিখ ঘোষণা আসতে পারে যে কোনো সময়। এই সকল নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। শুরু করেছেন লবিং।
জানা গেছে, চন্দনাইশ অংশ তথা ১১নং ওয়ার্ডের জেলা পরিষদ সদস্য আবু আহমেদ জুনু গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে গত ২২ এপ্রিল পদত্যাগ করলে পদটি শূণ্য হয়। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ অবহিত করার কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন পদটি শূণ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শূণ্য পদে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য গত ২৬ জুন প্রতিবেদন পাঠানো হয়। বিধিমালা অনুযায়ী পদ শূণ্য হওয়ার পর পরিষদের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি থাকলে ৬০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। অথচ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার অতিরিক্ত ৭ দিন অতিবাহিত হলেও উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ২ ভাইস-চেয়ারম্যান, ২ পৌরসভার ২ মেয়র, ২৪ কাউন্সিলর, ৮ ইউপি চেয়ারম্যান, ৯৬ ইউপি সদস্যসহ ১৩৩ জন ভোটারের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন জেলা পরিষদ সদস্য।
জেলা পরিষদ সদস্যপদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল আলম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী কাইছার, উপজেলা যুবলীগ নেতা আ ন ম হাসান চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আ’লীগ নেতা।
অপরদিকে দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদকে ২০১৪ সালে শহর এলাকা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ২০১৫ সাল থেকে দোহাজারী ও সাতবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। গত বছরের ১৭ জুলাই দোহাজারী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ২০১০ সালের পর থেকে সাতবাড়ীয়া ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে চেয়ারম্যান আহমুদুর রহমান দোহাজারী পৌরসভার নাগরিক হয়েও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বিনাভোটে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত ১৪ বছর ধরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, আমি আসার পর পর সীমানা জটিলতা নিরসন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যে কোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আ’লীগ নেতা নুরুল কবির চৌধুরী, যুবলীগ নেতা ফোরক আহমদ, জহির উদ্দীন হিরু, নুরুল আবছার, প্রবাসী নুরুল হক, এলডিপি নেতা সিরাজুল ইসলাম।
অপরদিকে গত ২৫ জুন কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল শুক্কুর কোম্পানী মৃত্যুবরণ করায় পদটি শূণ্য হয়ে যায়। নিয়মানুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মো. আনিসুল ইসলামকে গত রবিবার (৩০ জুন) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে পদটি শূণ্য ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান। এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম সেন্টু, অধ্যাপক একরাম হোসেন, অ্যাড. আবু সালেহ, আ’লীগ নেতা মোরশেদুল আলম, যুবলীগ নেতা মফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান, সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভাই প্রবাসী মো. ইউসুফ। নির্বাচন করতে পারেন মৃত্যুবরণকারী চেয়ারম্যানের সহধর্মীনিসহ একাধিক ব্যক্তি- এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে।