সবাইকে রুখে দাঁড়াতে বললেন মির্জা ফখরুল

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের বর্তমান অবস্থাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে ‘রুখে দাঁড়ানো’র আহবান রেখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, তার বিশ্বাস জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাসহ দেশের চলমান অবস্থা তুলে ধরে এ আহŸান রাখেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশের অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই। এখানে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নেই, এমনকি কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এখন কঠিন সময় আমরা অতিক্রম করছি। এই সময়ে যদি আমরা রুখে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে পুরো দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। খবর বিডিনিউজের।
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ দেশের মানুষ, ওরা জেগে উঠছে। যে কথাটা মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সব নেতা বলেছেন যে, আর সময় দেওয়া যাবে না। সকলকে উঠে দাঁড়াতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়ার শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। যাদু মিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বরাবরই বলছি, আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমলাদের ওপরে এবং তাদের তথাকথিত বাহিনীর ওপরে, যারা আজকে রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে আমার ধারণা বই পড়ে, বিভিন্নভাবে। কালকে (সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধীদের ওপরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা) আমার মনে হয়েছে, আমি ফ্যাসিবাদ দেখেছি। আমি আমার চোখের সামনে দেখেছি, কোনো কিছু দমন করতে হলে- বিরোধী দলকে, বিরোধী মতকে, এমনকি ছাত্রদের দাবিগুলোকে; তখন এভাবে তাদের দলের লোকজনকে দিয়ে, তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে এবং পুরোপুরিভাবে সব স্তব্ধ করে দেওয়া, এটাই হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই ফ্যাসিবাদ।
মির্জা ফখরুল, আজকে সেই অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে হবে। আজকে ৫৩ বছর হয়ে গেছে স্বাধীনতার, এই স্বাধীনতার এতদিন পরও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যে কোটার কথা ছেলেরা বলছে, এই কোটা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করে দিয়েছিলেন। আবার সেটাকেই আদালত দিয়ে সামনে নিয়ে এসে সেটা ইস্যু তৈরি করা হয়েছে।
দুর্ভাগ্য আমাদের দেশের আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের শাসনকে স্থায়ী করার মধ্য দিয়ে, এই কথা আমরা বহুবার বলেছি। সে জন্য আমাদেরকে বিভিন্নভাবে কথা বলা হয়েছে।