সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে চালু হচ্ছে হটলাইন

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে স্থাপনায় হামলা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এ ধরনের হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা যাতে প্রতিকার পায়, সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন চালু করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের বিফ্রিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যারা এই ন্যাক্কারজনক হামলা উপাসনালয়ে করে, তারা মূলত দুর্বৃত্ত। আমরা চেষ্টা করব, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। খবর বিডিনিউজের।
আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আজকেই (সোমবার) একটা হটলাইন চালুর ঘোষণা দেব। বাংলাদেশের কোথাও যদি কোনো উপাসনালয় অথবা কারও বাড়িঘর, সম্পত্তি আক্রান্ত হয়, তিনি হটলাইনে যোগাযোগ করবেন। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেব।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির, উপসানালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার খবর আসছে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে।
হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হিন্দুরা। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের দূতাবাসগুলো।
ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, একটা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই দেশ পেয়েছি। এখানে সব ধর্মের লোকদের অংশগ্রহণ আছে, তাদের ত্যাগ আছে, তাদের রক্ত আছে। এটা আমরা বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। এটা একটা অসা¤প্রদায়িক দেশ এবং এই চেতনাটাকে আমাদের লালন করতে হবে।
অমুসলিমদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এটা আশ্বস্ত করতে চাই, এই বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। আবহমান কাল ধরে আমরা রোজা-পূজা একসাথে করে আসছি এবং এখানে সা¤প্রদায়িক হানাহানি নাই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা, আমাদের সরকার অত্যন্ত সতর্ক, যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটি চিঠি ইস্যু করেছি বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে।
ওখানে আমরা বলেছি, ইমাম সাহেবদের খুতবায় অমুসলমানদের অধিকার, তাদের উপাসনালয় সংরক্ষণ করার কথা বলার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। জান-মাল, উপাসনালয়, তাদের ইজ্জত যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, এ ব্যাপারে মোটিভেশনাল বক্তব্য বা ওয়াজ করার জন্য আমরা ইমামদের বলেছি এবং অলরেডি কাজ শুরু হয়ে গেছে।খালিদ হোসেন বলেন, আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আপনারা লক্ষ্য করেছেন মাদরাসার ছাত্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকরা উপাসনালয় পাহারা দিয়েছে, আমি কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি রাত জেগে তারা পাহারা দিচ্ছে।