শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী শফিকুর

2

ইউএই প্রতিনিধি

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধভাবে বিদেশে আসা এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানিয়ে বলেছেন, প্রবাসী বান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২.৫% প্রণোদনা দিচ্ছেন। আগামীতে আরও বৃদ্ধি হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ব্যাপকভাবে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সহযোগিতা করলে খুব শীঘ্রই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের যথেষ্ট সুদৃষ্টি রয়েছে। তারপরও কোন প্রবাসী হয়রানি হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে এনবিআর কর্তৃক প্রবাসীদের হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। হয়রানি হচ্ছে শুনেছি। সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে তিনি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সে হিসেবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই কর্তৃক আয়োজিত গত ২৪ মে স্থানীয় রেডিসন বøু হোটেলে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এসএকে একরামুজ্জামান, আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল আলম, দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটর কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই সিনিয়র সহ-সভাপতি সিআইপি আইয়ুব আলী বাবুল, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাই সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাজা মল্লিক, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আজমানের সাধারণ সম্পাদক সিআইপি মো.হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ফুজিরার সভাপতি সাইফুর রহমান। সভায় বক্তারা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি রয়েছে। এরা এই দেশটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যেও ব্যাপক সুনাম বয়ে আনছে। সরকারও প্রবাসীবান্ধব। এদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও সরকার সব সময় ভালো কথা বলছেন। এতে প্রবাসীরাও বেশ আশ্বস্ত বোধ করেন। এক্ষেত্রে আমিরাত থেকে ব্যাপক রেমিট্যান্স যাচ্ছে দেশে। যা রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে আমিরাত দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এনআরবি সিআইপি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রেও আমিরাত শীর্ষে। অথচ প্রবাসীরা দেশে এনবিআর কর্তৃক ইনকাম ট্যাক্সের অজুহাতে নানাভাবে হয়রানি হচ্ছে। আর এই ক্ষেত্রে অর্থ প্রদানে খুশি করতে পারলে সবকিছু সমাধান হয়ে যায়। যা সচেতন প্রবাসীরা এমনটি আশা করেন না। কারণ দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি অন্তরায়। তাই এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন প্রবাসীরা।