শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু

2

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন কাটারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) ও শিপ ইনচার্জ বরকত উল্লাহ (২৩)। তারাসহ বিষ্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল শনিবার ভোরের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এ দুই শ্রমিক।
জাহাঙ্গীর আলম পিরোজপুর জেলার কাউখালীর আবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। আর বরকতুল্লাহ পটিয়া থানার মো. আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা দুজনেই ওই শিপইয়ার্ড এলাকাতেই থাকতেন।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, ‘শনিবার ভোরের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতউল্লাহ মারা যান। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে আমাদের হাসপাতালে আট জনের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আবুল কাশেম (৩৯) পিটার ও আনোয়ার হোসেন (৪৫) পিটার নামে আরও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর সীতাকুন্ডে সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার এস এন করপোরেশন শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে ১২ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হলে পথিমধ্যেই ৯০% দগ্ধ নিয়ে আহমাদুল্লাহ মারা যান। পরে গত রবিবার আহমদ উল্লাহ (৩৮) এইচ এনসি ম্যানেজার, আলামিন(২১) সেফটি ইনচার্জ, খাইরুল (৮০) ওয়েল্ডার এবং হাবিব (৪৫) কাটারম্যান আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।