শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-লংমার্চ উত্তাল চট্টগ্রাম

17

চবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজসহ চবি অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনে একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেল ৫টায় সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে লংমার্চ শুরু করে তারা। প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর এই লংমার্চটি নগরীর ২ নম্বর গেট হয়ে প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, জামালখান, কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, জিইসি মোড় ও দুই নম্বর গেট প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ষোলশহর রেলস্টেশনে এসে শেষ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে সমাবেশ করে। সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছিলাম। এ মন সময় পুলিশ আমাদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। এই হামলার প্রতিবাদে আজকে চট্টগ্রামে এই জনস্রোত নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে আঘাত করার পরিণাম যে কখনোই ভালো হয় না তা দেখিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। আমাদের উপর যদি অন্যায়ভাবে হামলা করা হয় তাহলে আমরা তা রুখে দাঁড়াব।
পরে রাত আটটার দিকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে এদিনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা। তারা জানায়, শনিবার তারা কোনো কর্মসূচি পালন করবে না। এদিন বিশ্রাম নিয়ে আগামী রবিবার তারা কেন্দ্রীয় আন্দোলনের সাথে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন করবে।
প্রসঙ্গত, কোটা পদ্বতি সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুরুতে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নামলেও বর্তমানে তা এক দফায় পরিণত হয়েছে। দাবিটি হলো সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নগরীর টাইগারপাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।