শিক্ষার্থীদের জন্য আদালতের দরজা সব সময় খোলা

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানির সময় আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন- তাদের পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সব সময় খোলা। তারা তাদের দাবিগুলো আইনজীবীদের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন। আমরা সেটি গুরুত্ব সহকারে শুনব।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে জাতীয় সংসদকে ১৬ দফা পরামর্শ দেওয়া সংক্রান্ত একটি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
শুনানিতে ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, দেশের স্বার্থে হাই কোর্ট দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১৬ দফা পরামর্শ দিয়েছেন।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সংসদকে পরামর্শ দিতে যাব কেন? আমরা কি সংসদকে পরামর্শ দিতে পারি? হাই কোর্ট সরকারকে নির্দেশনা দিতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি চাইলে পরামর্শ দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতি চাইলে সেই পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন, নাও পারেন।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে টানা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার সর্বোচ্চ আদালত কোটা নিয়ে স্থিতাবস্থা জারি করলেও সংসদে আইন পাস করে কোটাব্যবস্থার ‘যৌক্তিক’ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
ওইদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (গতকাল) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে আবারও সড়কে নামবে তারা। সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলে তবেই তারা আন্দোলন থেকে সরবে।
তাদের দাবি হল- শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে সকল ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে।