শিক্ষাবিদ মওলানা মুহাম্মদ ফৌজুল কবীরের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন

6

শিক্ষাবিদ মওলানা মুহাম্মদ ফৌজুল কবীর ৩০ মার্চ দিবাগত রাত ১২.১৫টায় বলুয়ারদীঘির পূর্বপাড়স্থ শহরের বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। গতকাল বাদ ফজর কোরবানীগঞ্জ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজার পর ভোরে তাঁকে বাঁশখালীর জলদী নেয়াজর পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিতার প্রতিষ্ঠিত জলদী হোসাইনীয় কামিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে নেয়াজর পাড়াস্থ মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি ৪ সন্তান, নাতি-নাতনিসহ, আত্মীয়স্বজন অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ গুণগ্রাহী রেখে যান।
তাঁর মৃত্যুতে যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রফিকুল আলম, সহ সভাপতি বিপুল বড়ুয়া, সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন শিশুকিশোর সাময়িকী আলোর পাতার এমরান চৌধুরী, খালেদ শরফুদ্দীন, আলী আসকর।
ফৌজুল কবীর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে আরবি ও ইসলামী শিক্ষায় ডবল মাস্টার্স ও চবির অধীনে বিএড কোর্স সম্পন্ন করেন। বাঁশখালী থানায় ১৯৫২ সন থেকে পিতার অনুপ্রেরণায় জলদী হোসাইনীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ মাদ্রাসায় ১৯৫৪ সনের দিকে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সুপারিন্টেন্ডেট ও অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ছোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর হাটহাজারী জামেয়া অদুদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়ে ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় সাতকানিয়ার গারাঙ্গিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ, নগরীর সলিমা সিরাজ মহিলা মাদ্রাসা ও আল আমিন বারিয়া মাদ্রাসায় রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একসময় ফটিকছড়ি বিবিরহাট জামেউল উলুম মাদ্রাসায় সিনিয়র শিক্ষক হিসেবেও শিক্ষকতা করেন। এছাড়া জলদী হোসাইনীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার গভর্নির বডি সভাপতি ছিলেন।
তিনি ১৯৭৫ সাল থেকে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড়তলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সল্টগোলা রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ ও ১৯৬১ সনে ঈশ্বরদি নাজিমুদ্দিন হাইস্কুল, ময়মনসিংহ কেয়টখালি রেলওয়ে হাইস্কুলে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময়কাল কুমিল্লা বোর্ডে ইসলামী শিক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক ছিলেন। মুহাম্মদ ফৌজুল কবীর বাংলা, আরবি, ফারসী, উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় পান্ডিত্যের অধিকারি ছিলেন। ষাটের দশক এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে তিনি দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কলাম লিখতেন। বিজ্ঞপ্তি