শান্তি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান

12

দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বশীলরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেম-উলামা সমাজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন, সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের পক্ষ থেকে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে ধর্মমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা এসব মত প্রকাশ করেন।
সেমিনারের বিষয়ে কওমি আলেমরা একেবারেই চুপচাপ ছিলেন। গণমাধ্যমে একাধিক আলেম কথা বললেও তারা কোনও অবস্থাতেই স্বনামে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি। খবর বাংলা ট্রিবিউন’র
গতকাল বুধবার দুপুরে বৈঠক শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারী একজন আলেম জানান, ফলপ্রসূ কোনও আলোচনা হয়নি। সেমিনারে হেফাজতের কেউ আসেনি। যে যার বক্তব্য দিয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই কওমি মাদ্রাসার আলেমদের মধ্যে কানাঘুষা চলছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৈঠকে অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণ কওমি আলেমদের মধ্যেও সমালোচনা হয়।
একাধিক আলেম জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে আলেমদের ভূমিকা চাইছে সরকার। ইতোমধ্যে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
বুধবারের আলোচনায় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান হাসনাত আমিনী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও আলতাফ হোসাইনের অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছিল দলটির একজন নেতা। যদিও এদিন বিকালে দলটির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, তারা কোনও বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অবস্থান প্রসঙ্গে সেমিনারে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরামরা খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদের এভাবে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আলেম-উলামারা আমাদের সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তারা সবাই অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উলামায়ে কেরামদের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও উন্নয়ন-অগ্রগতিকে গতিশীল রাখতে আলেম-উলামা সমাজের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।’