শহরে টিএসসি’র জন্য জমি চেয়ে ডিসিকে চবির চিঠি

9

চবি প্রতিনিধি

শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জমি চেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্তত ১৫ কাঠা জমি চেয়ে গত ১ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষার পীঠস্থান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ হাজার ছাত্র-ছাত্রী, ৯৯৭ জন শিক্ষক এবং দুই সহ¯্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০% শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করেন। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি সুবিধা থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি সুবিধা নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সৃষ্টির জন্য টিএসসি স্থাপন অপরিহার্য।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রে একটি টিএসসি স্থাপন করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। শহরে বসবাসরত শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এক সময় ভাড়া বাড়িতে একটি মেডিকেল সেন্টার চালু ছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আনা-নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে শহরে কমপক্ষে চারবার আসা-যাওয়া করতে হয়। শহরে একটি গাড়ি পার্কিং স্থান থাকলে এ খাতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি খরচ সাশ্রয় সম্ভব।
চিঠিতে টিএসসি ও এর আওতায় শিক্ষক ক্লাব, অতিথি কক্ষ, কনফারেন্স কক্ষ, লাইব্রেরি, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মেডিকেল সেন্টার এবং গাড়ি পার্কিং স্থান প্রতিষ্ঠায় অন্তত ১৫ কাঠা জমি বরাদ্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ বলেন, টিএসসির জন্য জমি চেয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে যান। এটি নিয়ে প্রক্টর ও উপাচার্য জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। আমি যতটুকু জানি জেলা প্রশাসক বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ১৫ কাঠা জমির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় এডিসি এবং এসি ল্যান্ডের কাছে চিঠির কপি হস্তান্তর করেন।
প্রক্টর আরও বলেন, আমরা ১৫ কাঠা জমি চাইলেও আমাদেরকে আরও বড় জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। আমরা ষোলশহর স্টেশনের আশেপাশে জায়গা পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা করছি।