শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বুঝবেন যেসব লক্ষণে

2

হাড়ের বা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতেও এই খনিজের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যেতে থাকে। তাই নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর থেকেই হাড়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে বলেন পুষ্টিবিদরা। দীর্ঘক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা, ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবে হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তবে এটি ক্যালসিয়ামের অভাবের একমাত্র লক্ষণ নয়। কোনো কোনো উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
পেশিতে টান- শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে পেশি ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি অনুভব করতে পারেন। হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করার সময় ঊরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তার অনুভূতিও হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

অসারত্ব : রক্তে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হাত বা পায়ের পাতা অবশ হয়ে যেতে পারে। অনেকের আবার হাত বা পায়ের পাতায় ঘন ঘন ঝিঁঝি ধরে। এটিও কিন্তু রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার একটি লক্ষণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে বলা হয় ‘হাইপোক্যালশেমিয়া’।

ক্লান্তি : ক্যালসিয়ামের অভাব হলে চরম ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে। সব সময় আলস্য বোধ হতে পারে। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ব্রেন ফগও হতে পারে, যেটি মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।

শুষ্ক ত্বক, ভঙ্গুর নখ : শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, একজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা হতে পারে। নখ ভেঙে যাওয়াও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির বড় লক্ষণ।

অস্টিয়োপোরোসিস : শরীরে ক্যালসিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলে, শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। অস্টিয়োপোরেসিসের মতো রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

দাঁতের ক্ষয় : দাঁতের স্বাস্থ্য বলে দিতে পারে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়েছে কি না। ক্যালসিয়াম দাঁতকে মজবুত করে। দাঁতে যন্ত্রণা, মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে সচেতন হোন।

অনিয়ন্ত্রিত হৃৎস্পন্দন : হার্টের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে ক্যালসিয়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। রক্তে এই উপাদানের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দনের হার বেড়ে বা কমে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘অ্যারিদ্মিয়া’ বলা হয়।