লংগদুতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অস্থির গ্রাহকরা

4

রাঙামাটি প্রতিনিধি

এই গরমে অতিষ্ঠ লোকজন, বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে অস্থির লংগদুবাসী। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও স্থানীয়রা বলেন, প্রচন্ড এই গরমে দিনে লোডশেডিং আর রাতে তো বিদ্যুৎ থাকেই না। মনে হয় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজন মনে হলে লংগদুতে বিদ্যুৎ দেয়। আবার তাদের মনে চাইলে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে।
অভিযোগে উঠে আছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, লংগদু প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিলের সাথে মিটারের কোন মিল নাই।
জানা গেছে, লংগদুতে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মচারি নাই।
লংগদু ও মাইনীমুখ বাজার ব্যবসায়িরা বলেন, বিদ্যুতের আসাযাওয়ার মধ্যে কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করব তা বুঝতে পারছি না। এই যদি হয় বিদ্যুতের অবস্থা তাহলে আমরা কোথায় যাব। বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় গরমে আমাদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। ব্যবসায়িদের চরম ক্ষতি হচ্ছে।
লংগদু উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা, গরমে রোগীদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করাসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে ছোট খাটো কাল কারখানা চালাতে পারছে না মালিক কর্তৃপক্ষ।
দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী সন্তোষ চাকমা বলেন, গত দুই দিন ধরে লোডশেডিং একটু বেশি রকম দেখা দিয়েছে। যার কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। অন্যদিকে লাইনেও একটু সমস্যা আছে। এই কর্মকর্তা বলেন, লংগদুতে বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব কোন লোক নাই। তবে লংগদুতে বিদ্যুৎ বিতরণে অনিয়ম দুনীতি ও চোরা লাইন স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। প্রিপেইড মিটার নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের রহস্যজনক ভূমিকা। ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদান সহ নানা অভিযোগ উঠেছে।