রুমায় বন্দুকযুদ্ধে তিন কেএনএফ সদস্য নিহত

11

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’র (কেএনএফ) ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় তাদের আস্তানা থেকে তিনটি অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ফিয়াংপিদোং পাড়ার জ্ঞানমুন বমের ছেলে এডি থাং বম (২৪), সিকুয়াল বমের ছেলে রুমালসাং নয়াম বম (২৩) এবং জিরথন বমের ছেলে রুয়াল মিনলিয়ান বম।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ডেবাছড়ায় কেএনএফ’র আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় কেএনএফ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়। থেমে থেমে কয়েক দফায় গোলাগুলির ঘটনায় কেএনএফ’র ৩ সশস্ত্র সদস্য নিহত হন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে এবং একজন আহত হওয়ার কিছু সময় পর মারা যান।
জানা গেছে, নিহতদের লাশ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রুমা সদরে নিয়ে আসবেন। ৩ জন নিহত হওয়ার পর কেএনএফ’র সশস্ত্র অন্য সদস্যরা আস্তানা ছেড়ে পাহাড়ের গহিন অরণ্যে পালিয়ে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যৌথ বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে স্থানীয় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। কৌশলে অভিযানের জাল বিছিয়ে কেএনএফ’র অস্ত্রধারীদের রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রনিনপাড়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের খাদে ডেবাছড়া ঝিরি এলাকার খাদে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত হন।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুর রহমান জানান, রোয়াংছড়ি-রুমার সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া ঝিরিতে যৌথ অভিযানে কেএনএফ’র ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযানে রুমা সেনা জোনের সদস্যরা অংশ নেন। অভিযান থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ফিরলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। গুলিতে কয়েকজন হতাহতের কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত কোনও মরদেহ পুলিশ পায়নি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের টিম ফিরলে বিস্তারিত জানানো যাবে।