রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৫%

6

পূর্বদেশ ডেস্ক

রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে একই সময়ে রাজস্ব আহরণে ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এনবিআরের সাময়িক পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। সে হিসাবে আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। খবর বিডিনিউজের
গতকাল রবিবার এনবিআরের রাজস্ব নিয়ে পর্যালোচনা সভায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের সাময়িক হিসাব চূড়ান্ত করা হয়।
এ বিষয়ে সংস্থার গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুবিভাগের মহাপরিচালক মুহাম্মদ রাশেদুল আলম বলেন, পর্যালোচনা সভায় দেখা গেছে ৩ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণের তথ্য এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ’।
সাময়িক এ হিসাবে দেখা যায়, রাজস্ব আহরণ বাড়লেও তা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা কম; শতকরা হিসাবে তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও পরে সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়।
এনবিআরের সাময়িক হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ খাতে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৫ কোটি টাকা।
এ সময়ে ভ্যাটে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। ঘাটতির বিবেচনায় সবচেয়ে কম ঘাটতি রয়েছে এ খাতে।
অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) আগের বকেয়া মূসক বকেয়ার ৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করায় এ খাতে আহরণ বেড়েছে। এ সময় অর্থবছরে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৮১৯ কোটি টাকা। বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

আইএমএফেরও লক্ষ্যও অর্জিত হয়নি
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে টানাপোড়েনের মধ্যে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হলেও আন্তর্জাতি মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সংস্কার কার্যক্রমের শর্ত অনুযায়ী গত অর্থবছরে আহরণ করার কথা ছিল ৪ লাখ ৫০০ কোটি টাকা। সাময়িক হিসাবের তথ্য বলছে, এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থেকে বেশ পিছিয়ে ছিল রাজস্ব আহরণ।
আইএমএফের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর-জিডিপির অনুপাত ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর শর্তে সম্মত হয়েছিল বাংলাদেশ। পরের দুই ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে যথাক্রমে ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট এবং ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে।