রাঙ্গুনিয়ায় জনপ্রতিনিধিরা কাজে ফিরছেন

4

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলা করা হয়। আতœগোপনে চলে যায় প্রায় জনপ্রতিনিধি। অধিকাংশ কার্যালয়ে নাগরিক সেবা স্বাভাবিক করা যায়নি এখনো। তবে রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে অনেক জনপ্রতিনিধি কার্যালয়ে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেক জনপ্রতিনিধি প্রত্যয়নপত্র, জন্ম ও মৃত্যু সনদের জন্য করা আবেদনের পর স্বাক্ষর করা সনদ নাগরিকের হাতে তুলে দিতে পেরেছেন। আগে আবেদন করা ওয়ারিশন সনদও পেয়েছেন অনেকেই। এতে এলাকার জনসাধরণ জনপ্রতিনিধির এমন কার্র্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান- সদস্য, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলররা কেউই ৫ আগস্টের পর থেকে কার্যালয়ে আসছেন না। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভার অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও মেয়র আত্মগোপনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রবিবার (১৮ আগস্ট) অনেকেই কার্যালয়ে এসেছেন আবার অনেকেই আসেননি। রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, হোছনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান দানু মিয়া স্বনির্ভর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুুল্লাহসহ অনেকেই কার্যালয়ে আসেননি। গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কার্যালয়ের ভিতরেও বাইরে প্রচুর লোকজন। জরুরি নাগরিক সেবা নিতে এসেছেন অনেকেই। কথা হয় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী মুরাদ এর সাথে। তিনি বলেন, আগে আবেদন করা ওয়ারিশন সনদ হাতে পেয়েছেন গতকাল (রবিবার)। এই ইউনিয়নে জন্ম সনদ ও প্রত্যয়নপত্র হাতে অনেককেই ফিরতে দেখা গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম জানান, আমি প্রতিদিনই ইউনিয়ন পরিষদে এসে সকল প্রকার নাগরিক সেবা প্রদান করেছি।
রাজানগর ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ইউপি সদস্যরা কার্যালয়ে গেলেও চেয়ারম্যান এখনো কার্যালয়ে আসেননি। তবে নাগরিকদের তেমন অসুবিধা হচ্ছে না তিনি দাবি করেন।
সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কার্যালয়ে ছিলাম। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পরপরই একটি মিছিল থেকে কিছু লোকজন এসে কার্যালয়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। পরে ইউপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান গত ৩ দিন ধরে সকল নাগরিক সেবা দিযে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর পাশে থেকে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্য্যক্রম সচল রেখেছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু সনদ কিংবা নাগরিক সনদ পেতে অসুবিধা হচ্ছে এই রকম কোনো অভিযোগ আসেনি। জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা বিঘিœত হয় এই রকম কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই রকম কেনো অসুবিধা হলে, একজন কর্মকর্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ চালাতে হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’