রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশংকা

5

রাঙামাটি প্রতিনিধি

ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত সোমবার দুপুর থেকে রাঙামাটিতে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। এর আগে গত রবিবার থেকে রাঙামাটি জেলায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেলা যত বাড়েছে ততই বৃষ্টির গতিবেগ বাড়ছে। তাই পাহাড় ধসের আশংকা থেকে বাঁচতে গত রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হয়েছে। এবং জনগণকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যারা পাহাড়ের চূড়ায় ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের অন্যত্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত অবজারভার ক্যাসিনো মারমা জানিয়েছেন, গত সোমবার থেকে ১৮০মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই ভারি বর্ষণ আগামী ২-৩দিন থাকতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। যে কেউ চাইলে ওই সব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন,ঘুর্ণিঝড় রেমাল ঠেকাতে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে এ জেলায় সর্ব মোট ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ কমিটি নগদ ১৫লক্ষ টাকা মজুত রেখেছে। এছাড়াও ৫শ’ বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩ শ’ কম্বল ও ২শ’ তাবুসহ ২৫০ মেট্রিক টন চাউল মজুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ঘুর্ণিঝড় রমেল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে পাহাড়র ধসের আশংকা রয়েছে।তাই অবস্থার পরিবর্তন না হলে পাহাড়ের পাদ দেশে বসবাসরত সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে অনুরোধ জানানো হয়। পাহাড় ধ্বসের আশংকায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এতে সবার সহযোগিতা লাগবে।