রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

2

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত বুধবার বিকাল থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গতকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে করে আবারও জেলায় পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে জুনের শেষে ও জুলাইয়ের শুরুতে হওয়া সপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষণে জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু ও বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন বহু মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদিনই রাঙামাটিতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দিনভর হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে বেশিরভাগ এলাকায়। টানা বৃষ্টির কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
তবে সম্ভাব্য যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সব সময় প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে। পাহাড় ধসসহ সম্ভাব্য যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ জেলা, উপজেলার সব বিভাগ ও সংস্থাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি হলে শহর এলাকাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা লোকজনকে আগেভাগে নিরাপদে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে সতর্ক করে দেওয়া হয়। ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের নিরাপত্তায় শহর এলাকাসহ জেলায় মোট ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা আছে। তার মধ্যে রয়েছে রাঙামাটি পৌরসভায় ২৩টি এবং রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯টি করে ৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুনে পাহাড়ধসে রাঙামাটিতে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরবর্তী ২০১৮ সালের জুনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ধসে ২ শিশুসহ ১১ জনের এবং ২০১৯ সালের জুনে জেলার কাপ্তাইয়ে আরও তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।