রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন উদযাপন

5

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইলমা’র প্রধান নির্বাহী নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু। আলোচনা সভা শেষে দুই কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। শেষে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য, দলীয় সংগীত ও একক সংগীত পরিবেশন করা হয়। শিশু একাডেমির প্রশিক্ষকবৃন্দ, প্রশিক্ষণার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বক্তারা বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য অবদান রয়েছে। মানুষের মুক্তির দর্শনই ছিল তাঁর দর্শন। কবি বিশ্বাস করতেন বিশ্ব মানবতায়। প্রকৃতি ও মানবপ্রেমী কবি মানবকল্যাণে দাতব্য চিকিৎসালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অইেশ জনহিতৈষী কাজ করেছিলেন। কবির আদর্শ-উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ ও দেশ সভায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে বক্তারা বলেন, বাংলা গানের জগতে নজরুল সুর ও বাণীর ক্ষেত্রে ঘটিয়েছেন এক অনন্য বিপ্লব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে ঘোষণা করা হয় জাতীয় কবি হিসেবে। ১৯৭৬ সালে মৃত্যু বরণ করলে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করা হয়। মৃত্যুর আগে তিনি লিখেছিলেন-“মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে হতে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই”। বিজ্ঞপ্তি