যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি

3

বান্দরবান প্রতিনিধি

‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এতোদিন ইউপিডিএফ ও জেএসএসের চাঁদাবাজি, গুম, খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আসলেও বর্তমানে নতুন করে কেএনএফের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছে এ পার্বত্য অঞ্চলে। কুকি-চিন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক ভ‚মি নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্ত¡শাসন ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুকি-চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানে একের পর এক গুম, চাঁদাবাজি, হত্যা, রাহাজানি এবং নিরাপত্তাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের লাশ ঝরতে দেখা যাচ্ছে’।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের গ্র্যান্ড ভ্যালী হোটেলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
এ সময় তিনি আরো বলেন, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখে কুকি-চিন ও অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে পার্বত্য এলাকার বাঙালিদের পাশাপাশি বেশি ক্ষতি হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের। সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় না দিয়ে অবিলম্বে যৌথবাহিনীর অভিযান আরও জোরালো করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
গত ২১ মে বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে কাজী মজিবর বলেন, লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা জামাল নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে বিকালে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশাসন এবং লামা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতিকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেন। সংবাদ সম্মেলনে তার এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন,লামা উপজেলা সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।