যুক্তরাষ্ট্রে গণহত্যা বিরোধী বিক্ষোভ যৌক্তিক নয় কী ?

4

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-ইরান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ-সংঘাতের ভয়াবহতা নিয়ে পুরো বিশ্ব আতঙ্কিত। আমেরিকা-রাশিয়া-চীন-ভারত-ইউরোপের কতিপয় দেশসমূহের যুদ্ধংদেহী অভিপ্রায় পারস্পরিক সম্পর্কে ব্যাপক ফাটল তৈরি করছে। উন্নত বিশ্বের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির প্রভাব উন্নয়নশীল-অনুন্নত দেশগুলোতে অধিকমাত্রায় অনুভূত। যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহারও বৈশ্বিক পরিবেশকে করে তুলছে দুর্বিষহ। অন্যদিকে খাদ্য-জ্বালানি-গ্যাস ইত্যাদির চাহিদা-সরবরাহে শুরু হয়েছে নানা টানাপোড়ন। ফলশ্রæতিতে পরিস্থিতি আশংকাজনক পর্যায়ে পৌছেছে। মানবাধিকার সুরক্ষার দাবিদার দেশসমূহে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র অতি সুস্পষ্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রচন্ড নিরবতা সত্তে¡ও সচেতন জনগণ অত্যন্ত সরব। জনশ্রæতি মতে, প্রতিবাদি আন্দোলন-সংগ্রামে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল। ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজা-পশ্চিম তীর-রাফায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে গত সাত মাসে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি হত্যার সংবাদ পরিবেশিত। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস গয়ে গেছে। ২৬১ জন শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন অধ্যাপকসহ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই গণহত্যায় নারী-শিশু-কিশোর কেউ বাদ পড়েনি। উপরন্তু প্রতিনিয়ত বেপরোয়া আক্রমণের তান্ডবে মাটির সাথে মিশে আছে বাসযোগ্য ভবনসমূহ। নানামুখী সংকটে কঠিন মানবেতর জীবনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। দানবতুল্য মানুষের বিবেক কোনভাবেই এতে নড়ে উঠছেনা।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সাথে সংহতি জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। দেশটির প্রায় সকল অঙ্গরাজ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার কোনভাবেই আন্দোলনকে ব্যাহত করতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের গণহারে বহিষ্কার-আবাসিক সুবিধা কেড়ে নেওয়া-স্কলারশিপ বাতিল-ফৌজদারি ধারায় মামলার ঝুঁকিসহ বিভিন্ন পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ প্রেক্ষাপটেও শিক্ষার্থীদের দমনে মার্কিন সরকার হিমশিম খাচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর হিসাবে, বর্তমানে প্রায় ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই আন্দোলন চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিপুল সংখ্যক খ্যাতিমান অধ্যাপক ও অ্যালামনাইরা প্রকাশ্যে এই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবির প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে তা হলো- ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ থেকে লাভবান হচ্ছে এমন করপোরেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা বিনিয়োগ করছে তাদের তথ্য এবং অন্যান্য আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা, ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামগুলোর সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, ইসরায়েলের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও ইসরায়েলে বিনিয়োগ বন্ধ করা ইত্যাদি।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বতস্ফূর্ত এই আন্দোলনকে শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন-মার্কিন সরকার শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমনের অপচেষ্টা চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের তাঁবু কেড়ে নেয়। শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে অনেকক্ষেত্রে বিক্ষোভ বন্ধে দেশটির পুলিশের নির্মম আচরণ অব্যাহত। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় করছে পুলিশ। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই সার্বক্ষণিক বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষনীয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি বর্বরতার চিত্র উপস্থাপিত। আন্দোলনরত শত শত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে সংঘর্ষে জড়ানো-টেনে হিচড়ে শিক্ষার্থীদের গণহারে গ্রেপ্তার-নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরানোসহ মার্কিন পুলিশের নানামুখী কদর্য কমযজ্ঞে পুরোবিশ্ব বিস্মিত। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, এমরি ইউনিভার্সিটি, টেক্সাস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, রচেস্টার, এমআইটি, প্রিন্সটন, হার্ভার্ডসহ আন্দোলনে লিপ্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই পুলিশ কমবেশি সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে। অভিযানে আটক হয়েছেন ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদ ও গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন।
ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় ইসরায়েলপন্থী কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ইসরায়েলের পতাকা হাতে তারা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছে। ১ মে ২০২৪ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। মুখোশ পরা একদল ইসরায়েল সমর্থক ফিলিস্তিনপন্থীদের লাঠিপেটা করে। ফলশ্রুতিতে ক্রমশ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ৫ মে ২০২৪ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি মার্কিন বার্তাসংস্থার পরিসংখ্যান মতে, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ থেকে শুরু করে এই বিক্ষোভকে ঘিরে অন্তত ৬১টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ৪৭টি ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী তাঁবু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাদের উপর রাসায়নিক উপকরণ সমৃদ্ধ স্প্রে ছিটানো হয়। বিশ্লেষকদের দাবি আগামী দিনগুলোতে সহিংসতার তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে।
বিজ্ঞজনের মতে, মত প্রকাশের অধিকার-প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শনে সর্বদা সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশি অভিযান ও ধরপাকড় দেশটির সংবিধান-বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা-ভাবমূর্তির সঙ্গে একবারেই সাংঘর্ষিক। চীন কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দমন নিপীড়নের বিরোধীতা করা মার্কিন সরকারের এমন কর্মকান্ড সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন সহলে তুমুল সমালোচিত। দেশটির মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলা এই আন্দোলন দমনে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন। অতিসম্প্রতি দলের কার্যনিবাহী কমিটির বৈঠকের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় একজন মহিলা প্রফেসর বলছেন, আমি ভার্সিটির প্রফেসর। পুলিশ তাকে ধরে হাতমোড়া দিয়ে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে অ্যারেস্ট করেছে! সেখানে ছাত্র-শিক্ষক, তাদের হাতে লাঠি ছিল না, আগুনও ছিল না। তারা কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখীও ছিল না। তারপরও আমেরিকার পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, এতে সেই দেশে মানবাধিকার যে কতটুকু আছে সেটি প্রশ্ন, কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটি প্রশ্ন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে সেটি আমাদের প্রশ্ন।’
যুক্তরাষ্ট্রের অতি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিক সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান দেশটির নীতিনির্ধারকদের অস্বস্তিতে নিপতিত করেছে। মার্কিন সরকার শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে ‘ইহুদি বিরোধী আন্দোলন’ তকমা দিয়ে প্রতিরোধ করছে। মার্কিন প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানায়, আন্দোলনকারীরা অ্যান্টি-সেমিটিজম বা ইহুদি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং তাদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইহুদি নাগরিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদি শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে পড়ছে। এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় শিক্ষার্থীদের পা না দেওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। গণমাধ্যমসহ রাষ্ট্রীয় ও সরকারের সকল বিভাগ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ‘হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল’, ‘ইহুদি বিদ্বেষী’, ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে ইসরায়েলপন্থী সংগঠন ও কমিউনিটিকে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ করে তুলছে। কিন্তু বিবিসি, টেলিগ্রাফ, আল জাজিরাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ মুসলিম হলেও সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান। এমনকি অনেক ইহুদি শিক্ষার্থীও সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা ‘ইহুদি বিরোধী আন্দোলন’ এমন দাবি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, আমরা গণহত্যা বিরোধী, ইহুদি বিরোধী নয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় এটি সুস্পষ্ট যে, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ‘গাজা সলিডারিটি ক্যাম্পমেন্ট’ নামে শিক্ষার্থীদের একটি জোট এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ‘এনওয়াইইউ প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কোয়ালিশন’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘গাজা সলিডারিটি ক্যাম্পমেন্ট’ জোটে আছে ‘কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্টহেড ডাইভেস্ট (সিইউএডি)’, ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’ ও ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ নামে তিনটি ছাত্র সংগঠন। অন্যদিকে ‘এনওয়াইইউ প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কোয়ালিশন’ জোট গঠিত হয় ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্যাকাল্টি ফর জাস্টিন ইন প্যালেস্টাইন’, ল স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’, শাট ইট ডাউন এনওয়াইইউ’, ‘জিউস অ্যাগেইনস্ট জায়ানিজম’সহ আরও ২০টির অধিক ছাত্র সংগঠন নিয়ে।
গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী বিক্ষোভ বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর আরও ১২ দেশে একই দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন-সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার ম্যাকগিল-কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্সের প্যারিস ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিস ও সরবন বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির স্যাপিনজা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের লিড ইউনিভার্সিটি-ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটিসহ আরও কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়রল্যান্ড ও মেক্সিকোতে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এটি প্রমাণিত যে, বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষ ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নির্দোষ-নিরীহ সাধারণ জনগণের প্রতি এমন নির্মমতা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আন্দোলনরত সকল পক্ষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর একযোগে অচিরেই বিশ্বকে আলোড়িত করবেই। বিশেষ করে ইসরায়েলি সমর্থক মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যৌক্তিক গতিবেগ আরও জোরদার হলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সমাজ-অপরাধবিজ্ঞানী, সাবেক উপাচার্য চ.বি