যারা আমাকে পিতৃহারা করল তাদের বিচার চাই

6

ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতায় খুন হওয়ার খবর দেশে আসার পর কাঁদতে কাঁদতে খুনিদের বিচার চাইলেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমি জেনেছি আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে যারা পিতৃহারা করল আমি তাদের বিচার চাই।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।
কলকাতায় পৌঁছে তিনি ওঠেন তার বন্ধু, বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না তার পরিবার।
এদিকে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন পরে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।
পরের কয়েক দিনে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে যোগাযোগের পর বুধবার সকালে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে আনারের খুন হওয়ার খবর আসে। খবর বিডিনিউজের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এমপি আনারের মেয়ে ডোরিন। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, পুলিশ যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের তিনি চেনেন কি না। উত্তরে ডোরিন বলেন, আমি তাদের কাউকেই চিনি না। কিন্তু তাদের চিনতে চাই, জানতে চাই কেন তারা আমার বাবাকে হত্যা করল। কাউকে সন্দেহ করছেন কি না, এ প্রশ্নে এমপি আনারের মেয়ে বলেন, কাউকে আমি সন্দেহ করছি না। কিন্তু খুনিদের পরিচয় জানতে চাই। তারপর আমি আমার সন্দেহের কথা প্রকাশ করব।
সংসদ সদস্য আনারের দুই মেয়ের মধ্যে ডোরিন ছোট। বড় মেয়ে চিকিৎসক, আর ডোরিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ছেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষ বাবার সঙ্গে তার ভিডিও কলে কথা হয়েছিল। বাবা তাকে বলেছিলেন, তিনি দুদিনের মধ্যেই ভারত থেকে ফিরবেন। তিনি ঢাকায় ফিরে তাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।
কাঁদতে কাঁদতে ডোরিন বলেন, আমি এতিম হয়ে গেলাম। যারা আমাকে পিতৃহারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই, ক্রস কিংবা ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মায়ের মত। তিনি অনেক সাহায্য করছেন আমাদের, তার কাছেও আমরা বিচারের আর্জি জানাই।
ডোরিন বলেন, আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে খবর পেয়ে আমি হারুন আঙ্কেলের (গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ) সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমরা মামলা করতে চাই সে বিষয়ে তাদের সহায়তা নিতে এসেছি।