মুগ্ধ হয়ে শুনুন প্রিয়জনকে

4

ফোনটি ঠিকঠাক রাখার জন্য মাঝে মাঝে রিস্টার্ট দিতে হয়। নয়তো হ্যাঙ হয়ে যায়। যদিও এই আর্টিকেলের বিষয় ফোন নয়, তবে এর সঙ্গে মিলিয়ে ভাবলে দাম্পত্য সম্পর্কেও রিস্টার্ট প্রয়োজন। আর সেজন্য ছুটির দিন হলো সব থেকে ভালো দিন।
রাগকে বিদায় বলুন: ছুটির আয়েসী আমেজ ধরে রাখতে রাগকে প্রশ্রয় দেবেন না। মাথা গরম তো সবারই হয়। কিন্তু তা বলে এক মুখ রাগ নিয়ে দিন শুরু করার মোটেও ঠিক নয়। একান্ত সুখানুভূতিগুলো করে দিতে পারে রাগ। নিজের রাগকে বিদায় দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলুন।
একে অপরকে চিনুন: দুজনের মধ্যে মতানৈক্য হতেই পারে। দুজন আলাদা মানুষ, তাদের আলাদা চিন্তা ভাবনা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
আজ ক্ষমা করে দিন: আজ খেয়াল করুন বিগত সপ্তাহে সঙ্গীর কোন আচরণ আপনাকে খুব ভুগিয়েছে, তার কারণ কী। এসব খুঁজে বের করতে পারলে নিজের ভুলটাও পেয়ে যাবেন। এতে ক্ষমা করা সহজ হবে।
চুপ থাকতে শিখুন: আপনি যতোই বাকপটু হোন না কেন, দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিক রাখতে মাঝে মধ্যে চুপ থাকাটা রপ্ত করুন। বিশেষ করে সঙ্গী যখন বেশি বলে তখন চুপ হয়ে যাওয়াটা আপনার জন্য জরুরি।
আনন্দে থাকুন-আনন্দে রাখুন: মুখে হাসি ধরে রাখুন। মনে করুন আপনার ভালো থাকার অনেক কারণ আছে। হাসি খুশি থাকলে সঙ্গীও খুশি থাকবে।
পুরুষেরা স্ত্রীর নিয়ম মেনে চলুন: বিয়ের আগে মায়ের বারণ শোনেননি বলে যে বিয়ের পরে স্ত্রীর বারণকেও চোখ রাঙাবেন তা কখনোই চলবে না। ছুটির দিনটা মাটি করতে না চাইলে স্ত্রীর বারণ শুনে চলবেন। ধরুন আপনার স্ত্রীর ঘর গুছিয়ে রাখার বাতিক আছে। কিন্তু আপনি ঘর গোছানো থাকলে কোনো জিনিস ঠিক ঠাক খুঁজে পাননা। কিন্তু কি আর করবেন তার মতে কয়দিন চলেই দেখুন না। আস্তে আস্তে স্বভাব পরিবর্তন হয়ে যাবে আপনারও।
অফিসের কাজ কখনওই বাড়িতে নয়: ছুটির দিনে অফিসের কাজ নিয়ে বসবেন না। অফিসের সব চিন্তা ভাবনা ফেলে আসবেন অফিসেই। বাড়িতে নিয়ে এসে নিজের কাছের মানুষকে দূরে রাখলে দাম্পত্য সুখ অধরা থেকে যাবে। সব সময় বন্ধুত্ব রাখুন: আজ বন্ধুত্বটা ঝালিয়ে নিন। খুব ভালো শ্রোতা হয়ে একে অন্যের কথা শুনুন, মুগ্ধতা প্রকাশ করুন।এগুলো আয়ত্ত করতে পারলে দেখবেন সম্পর্কের ক্যালকুলেটরটি ঠিকঠাক কাজ করছে। তথ্যসূত্র: জি নিউজ অবলম্বণে