মুক্তি পেলেন বেগম খালেদা জিয়া

4

পূর্বদেশ ডেস্ক

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর এবার মুক্ত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদ জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বেগম জিয়ার মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশের নয়। বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সোমবারের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকেও ‘মুক্তি’ দেওয়া হয়েছে।
দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেই জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
এদিকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা সেবা বিভাগ কারা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সইয়ে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড মওকুফ করে মুক্তির বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬/১৮ (বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা-এর বিশেষ মামলা নং-১৭/২০১৭ থেকে উদ্ভূত) এবং বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা-এর বিশেষ মামলা নং-১৮/২০১৭-এ প্রদত্ত দন্ডাদেশ মওকুফ করে নির্দেশক্রমে মুক্তি দেওয়া হলো।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থতার কারণে কিছু দিন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মুখে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার শর্ত ছিল, তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করবেন এবং ঢাকাতেই চিকিৎসা করাবেন। ফলশ্রুতিতে শর্ত মেনে ওই বছরের দুটি ঈদ তিনি তার ভাড়া করা বাসভবন ফিরোজায় কাটান।
গতকাল দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি গতকাল (সোমবার) রাতে দেখা করেছি…। সুতরাং যখনই তিনি ফিট মনে করবেন, সুস্থবোধ করবেন, তখন তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, আপাতত বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির বলেন, আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে ম্যাডামের।