মিরসরাইয়ে ভাঙনের কবলে বসতবাড়ি-কৃষিজমি

2

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ফেনী নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন ফেনী নদীর তীরবর্তী মানুষ। নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শত শত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার একর কৃষিজমি। কয়েক বছর নদী ভাঙন বন্ধ থাকলেও সা¤প্রতিক বন্যায় অতিরিক্ত পানির চাপ ও স্রোতে নদীর মিরসরাই অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের আমলীঘাট থেকে শুভপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মোল্লা বাড়ি, তিলকের খাল, চৌধুরী বাড়ির প্রায় অর্ধশত বসতঘর ভাঙনের কবলে পড়ছে। ফেনীর ছাগলনাইয়া অংশে নতুন চর জাগায় এ অংশে স্রোত তীব্র হচ্ছে। এতে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী ও ধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর, পশ্চিম জোয়ার, ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা ও শুক্কুরবারইয়াহাট গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া বøক বন্যায় তলিয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষের পুনর্বাসন এবং শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোন উদ্যোগও নেই। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে পুরো গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। অলিনগর গ্রামের আরমান জানান, ভাঙনের পর আমাদের ভাগ্য গড়া হবে কিনা সেটি কেউ বলতে পারেন না। বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরেকটি সঙ্কটে পড়েছি।
আমেনা বেগম বলেন, নদী ভিটেমাটি ভাসিয়ে নিলে কোথায় আশ্রয় হবে জানি না। আমার কপালে কী আছে ওপরওয়ালা ছাড়া কেউ জানে না।
করেরহাট ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কালা বলেন, আমার ৭৫ বছর বয়সে এমন বন্যা দেখিনি। এবার এলাকার মানুষ ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি নেমে যাওয়ায় নদীভাঙন মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, নদী ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বিলীন হতে পারে শত শত বসতঘর।