মিরসরাইয়ে খুন হওয়া যুবদল কর্মীর দাফন

3

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ যুবদল কর্মী ছায়েদ আলম (৩৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকালে উপজেলার চৈতন্যেরহাট এলাকায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ছায়েদ আলমের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বুধবার তার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছায়েদ উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় এলাকার কেরানী বাড়ির মো: দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ছায়েদের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আউয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেলসহ ছায়েদের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ছায়েদের বড় ভাই মঞ্জুরুল আলম, আমার ভাই বিজয় মিছিল শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আমরা অনেকবার ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। গতকাল কচ্ছপ গোনা নামক পাহাড়ের পাদদেশ থেকে আমার ভাইয়ের খন্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, যারা আমার ভাইকে এমন নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের সবাইকে যেন দ্রত আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজয় মিছিল করে। তারই ধারাবাহিকতায় সোনাপাহাড় বিশ্বরোড এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে। বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাতে ছায়েদ আলম নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি ও মোবাইল নাম্বারে একাধিক ফোন দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ৯ দিন পর উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকার পূর্বে দুর্গা ঘোনা নামক পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি। পরিবারের লোকজন এসে মামলা দায়ের করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।