মিরসরাইয়ে অপহৃত গৃহবধূর ১ মাসেও খোঁজ মিলেনি

20

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে গৃহবধূ অপহরণের ১ মাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ না মেলায় উদ্বিগ্ন পরিবার। গৃহবধূর নাম আকলিমা আক্তার। ৩ সন্তানের জননী এ গৃহবধূ উপজেলার ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়নের বামনসুন্দর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ ফারুকের স্ত্রী।
জানা গেছে, অপহরণ ঘটনার পর গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ অপহৃতের স্বামী মোহাম্মদ ফারুক মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ গ্রামের নুরুল আবছারের মেয়ে আকলিমা। ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কাটাছরা ইউনিয়নের বামনসুন্দর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ ফারুক। তাদের দেড় বছর বয়সী মোতালেব, ৪ বছর বয়সী ওমর ও ৯ বছর বয়সী আরাফাত নামে ৩ সন্তান রয়েছে।
গত ১১ জুন রাত ১২ টার দিকে ইছাখালীর লুদ্দাখালী গ্রামের আবু সুফিয়ানের ছেলে ইমাম হোসেন হৃদয়ের নেতৃত্বে অজ্ঞাত আসামিরা অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ফারুকের ঘরে প্রবেশ করে। তারা আকলিমাকে মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ফারুক তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকে রাম দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় ফারুকের চিৎকারে স্থানীয়রা আসার আগেই আকলিমাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ঘটনার পর ৩০ জুন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ ফারুক মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শেখ ফরিদ জানান, ঘটনার দিন রাতে ফারুকের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। তবে এর আগেই ফারুকের স্ত্রী আকলিমাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফারুক বলেন, দেড় বছরের ছেলে মোতালেবসহ ৩ সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছি। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করছি, আমার স্ত্রীকে যেন দ্রæত উদ্ধার করে দেয়। আমি অপহরণকারীদের কঠিন বিচার দাবি করছি।
ফারুকের আইনজীবী মো. নাজমুল হোসেন রাসেল জানান, আকলিমার স্বামী মোহাম্মদ ফারুক গত ৩০ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ ইমাম হোসেন প্রকাশ হৃদয়সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।