মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

11

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে সাজানো মারামারি মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করার পর গভীর রাতে আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার বিএম চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিএম চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলম ও আবুল নছরের সাথে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে দেওয়ানী আদালতে ২০০৬ সালে উচ্চারণ ও চিহ্নিত দখল বজায় বিভাগের মোকদ্দমা হয়। ওই মামলায় ২০২৩ সালে ডিক্রি হয়। যা আবুল নছরের পক্ষে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনজুর আলম প্রতিপক্ষকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে গত ৫ মে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আবুল নছরের ছেলে এহেছান ও মো. সেলিম উদ্দিন গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যান। একইভাবে ফের মারামারির ঘটনা দেখিয়ে গত ৭ জুলাই থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন মনজুর আলমের মেয়ে কাজলী বেগম। পর পর দুই মামলা দিয়ে আবুল নছরের পরিবারের লোকজনকে ঘরছাড়া করে মনজুর আলম।
এরপর বুধবার ভোররাত ৩টার দিকে মনজুর আলমের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে মো. মাজেদ ও মনছুর আলম এবং দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত আবুল নছরের বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবুল নছরের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগ নিয়ে গভীর রাতে বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে সটকে পড়ে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে আমার বাড়ির আসবাবপত্র ও ফার্নিচারসহ অন্তত ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় বিএম চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল হামিদের ইন্ধনে মনজুর আলম ও তার ছেলেরা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে ঘরছাড়া করে আমার বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।’
বিএম চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনজুর আলম ও আবুল নছরের বসতবাড়ির জমির বিরোধ নিয়ে একটি বিচার গ্রাম আদালতে চলমান রয়েছে। বিচারটির রায় কার্যকর করার পূর্বেই মনজুর আলম উচ্চ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করায় রায় কার্যকর করা আর সম্ভব হয়নি। এরপর থেকে শুরু হয়েছে নানা ঘটনা।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিএম চর ইউনিয়নে ঘর পোড়ার ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’