মানবজীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত পাওয়া

7

ফখরুল ইসলাম নোমানী

মৃত্যুর মাধ্যমেই দুনিয়ার জীবনের সমাপনী আসে এবং আখেরাতের অনন্ত অসীম জীবনের সূচনা হয়। এ জীবনের দুটি অবস্থান। একটি জান্নাত,আরেকটি জাহান্নাম। তারাই হবে জান্নাতি যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ-নিষেধ মেনে কোরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়ার বুকে জীবনযাপন করেছে। আর যারা তা অমান্য করেছে তারাই জাহান্নামি। মুমিন জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ ও জান্নাত পাওয়া। পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরিফে জাহান্নামির পরিচয় ও জান্নাত লাভের আমলগুলো সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা পরকালে কারা জাহান্নামের বাসিন্দা হবে তাদের বর্ণনা প্রদান করে সূরা মুদ্দাচ্ছিরে বলেন জান্নাতিরা (জাহান্নামিদের) বলবে-তোমাদের কিসে জাহান্নামে নিয়ে গেছে ? তারা বলবে-আমরা সালাত আদায়কারীদের মধ্যে শামিল ছিলাম না আর মিসকিনদের খাবার দিতাম না আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম এবং আমরা বিচার দিবসকে অস্বীকার করতাম। (সূরা মুদ্দাচ্ছির : ৪০-৪৫)। উল্লিখিত আয়াতগুলো থেকে জাহান্নামে যাওয়ার চারটি কারণ পাওয়া গেল। এ ছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে যেমন-পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-নিশ্চয় যারা অহঙ্কারে আমার ইবাদতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সূরা গাফির-৬০)। হাদিসে কুদসিতে এসেছে মহান আল্লাহ বলেন অহঙ্কার হলো আমার চাদর এবং মহত্ত্ব হলো আমার লুঙ্গি। যে কেউ এর কোনো একটি নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করবে আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জাহান্নামি। যারা অন্যায়ভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে তাদের যতই নেক আমল থাকুক না কেন ; প্রথমে তাদের জাহান্নামে যেতেই হবে। এ সম্পর্কে হজরত জুবাইর ইবনে মুতইম রা: থেকে বর্ণিত-তিনি নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছেন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এ ছাড়াও প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এ সম্পর্কে হজরত আবু হোরায়রা রা:-এর সূত্রে বর্ণিত-হজরত রাসূল সা: বলেছেন যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। জান্নাত-জাহান্নামে যাওয়ার প্রধান দুই কারণ বর্ণনা করে রাসূল (সা.)-বলেন মানুষকে সবচেয়ে বেশি জান্নাতে নেবে আল্লাহর ভয় ও সুন্দর চরিত্র। আর মানুষকে সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে নেবে মুখ ও লজ্জাস্থান। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) নামে একজন সাহাবি ছিলেন। তিনি ছিলেন মদিনা মনোয়ারার একটি মসজিদের ইমাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ইয়েমেনের কাজি হিসেবে নিয়োগ করেন। মুআজ (রা.) যেদিন কর্মস্থলে রওনা দেন রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁকে পায়ে হেঁটে বেশ কিছু পথ এগিয়ে দিতে আসেন। মুআজ (রা.) অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে বললেন আপনি সওয়ারিতে আরোহণ করুন। নবীজি (সা.) বলেন আমি তোমার প্রতি নয় তোমার জ্ঞানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।
নবীজি (সা.) যখন মুআজ (রা.)-কে বিদায় জানাচ্ছিলেন তাঁকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল। তিনি বলছিলেন হে মুআজ সম্ভবত আমার সঙ্গে তোমার আর সাক্ষাৎ হবে না। বাস্তবে ঘটেছিল তাই। হজরত মুআজ (রা.) ইয়েমেন থেকে ফিরে আসেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ইন্তেকালের পর। মুআজ (রা.) কে বিদায় জানাতে গিয়ে সর দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বক্তব্য দেন। হজরত মুআজ (রা.) বিদায়কালে বলেছিলেন হে আল্লাহর রাসুল আপনি এমন একটি পথ বাতলে দিন যাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। জাহান্নাম থেকে নাজাত পেতে পারি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন মুআজ তুমি আমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছ। আল্লাহ অবশ্য এটি যার জন্য সহজ করে দেন তার জন্য তা সহজ হয়ে যায়। তুমি কখনো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরবে রমজানের রোজা রাখবে জাকাত দেবে আর হজ করবে। এর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে থেকেই প্রশ্ন করেন আমি কি তোমাকে পুণ্যের দরজাগুলোর সংবাদ দেব না ? বলেই তিনি বললেন রোজা ঢালের মতো (তা প্রতিটি বিপদ এবং শাস্তিকে প্রতিরোধ করে)। পানি যেমন আগুনকে সদাকা ঠিক সেভাবে গুনাহ্র বিনাশ ঘটায়। তুমি রাতে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরবে। এই বলে রাসুল (সা.) এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন বলো তোমরা যদি মৃত্যুর বা নিহত হওয়ার ভয়ে পালাও তাহলে তোমাদের লাভ নেই আর তোমরা পালাতে পারলেও তোমাদের জীবন ভোগ করতে দেওয়া হবে। বলো আল্লাহ যদি তোমাদের অমঙ্গল চান কে তোমাদের রক্ষা করবে আর যদি তোমাদের অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন কে তোমাদের বঞ্চিত করবে ? ওরা আল্লাহ ছাড়া নিজেদের জন্য কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। (সুরা আহজাব,আয়াত : ১৬-১৭) তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ আর তার শৃঙ্গ হচ্ছে জিহাদ। রাসুল (সা.) আবার প্রশ্ন করলেন আমি কি তোমাকে এসব জিনিসের সারকথা বলে দেব না ? তিনি হাত দিয়ে নিজের জিব স্পর্শ করে বললেন একে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এর কারণেই মানুষকে উল্টোমুখী করে জাহান্নামে ছুড়ে ফেলা হবে। এর পর রাসুলুল্লাহ (সা.)-জাকাত, প্রশাসন-ব্যবস্থা এবং ফরজের কিছু কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন বিত্তশালীদের কাছ থেকে জাকাত নেওয়া হবে আর বিত্তহীনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। দেখো জাকাত-দাতাদের কাছ থেকে তাদের ভালো মালগুলো জোর করে নিয়ে আসবে না। মালুমের আর্তচিৎকার থেকে সব সময় বেঁচে থাকবে। কেননা আল্লাহ এবং তাদের (আর্তচিৎকারের) মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। রাসুলুল্লাহ (সা.)-তাঁর এসব বক্তব্যে জান্নাতে দাখিল হওয়ার এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত পাওয়ার উপায় স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। তিনি জুলুম থেকে দূরে থাকার জন্য বিশেষভাবে সাবধান করে দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এটাই নাজাতের পথ।

জান্নাত লাভের আমল :
নম্রতা : মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় (জান্নাতি) বান্দাদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন-আর রহমানের বান্দা তারাই যারা ভূপৃষ্ঠে নম্রভাবে চলাফেরা করে যখন তাদেরকে (মুমিনদেরকে) অজ্ঞরা (অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে তখন তারা বলে সালাম অর্থাৎ শান্তি। (সূরা ফুরকান-৬৩)

অনৈতিকতা ও পাপাচার পরিহার : বিশ্বনবী সা: সবধরনের অনৈতিকতা ও পাপাচার পরিহারের নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আবু জর রা: বর্ণনা করেন রাসূল সা: আমাকে বলেন তুমি যেখানেই থাকো আল্লাহকে ভয় করো। মন্দ কাজ করে ফেললে এরপর ভালো কাজ করো। তাহলে মন্দ কাজের গুনাহ মুছে দেবে। মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করো।
ঈমান ও নেক আমল : জান্নাতি মু’মিনের বৈশিষ্ট্য হলো সে ফরজ ইবাদত পালন পাপ বর্জন করে তাকওয়া অর্জন করে। আর দোয়া করে-রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ…অর্থাৎ-হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ইহকালে কল্যাণ দান করো এবং পরকালেও কল্যাণ দান করো। আর আমাদেরকে দোজখ-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো। (সূরা বাকারাহ-২০১)

শিরকমুক্ত আমল : এক ব্যক্তি বলল হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন আমল বলে দিন যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। নবী সা: বললেন তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে তার সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে জাকাত দেবে এবং রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখবে। এ ছাড়াও নবী সা: বলেন যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রাসূল আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। শুধু তাই নয় সিয়াম বা রোজা (জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য) ঢালস্বরূপ। নবী সা: আরো বলেন দুই প্রকার চক্ষুকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। আল্লাহর ভয়ে যে চক্ষু ক্রন্দন করে আর যে চক্ষু আল্লাহর পথে প্রহরায় রত থাকে। জাহান্নাম শাস্তির জায়গা ও দুঃখের কারাগার। তবে এমন কিছু আমল আছে যা মানুষকে জাহান্নামের শান্তি থেকে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে।

গিবতমুক্ত জীবনযাপন : কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষত্রুটি অন্যের কাছে প্রকাশ করাকে গিবত বলে। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে গিবত খুবই জঘন্য ও নিন্দনীয় কাজ এবং কবিরা গেনাহ। তাই এ থেকে মুক্ত থাকা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। গিবতমুক্ত জীবন গড়তে পারলে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। নবী কারিম (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার ইজ্জত-সম্মান রক্ষায় সহায়তা করবে আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিনে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
দান-সদকা : ইসলাম এমন একটি জীবন-দর্শন, যার অন্যতম সৌন্দর্য হলো দান-সদকা ও মানব কল্যাণ। দান-সদকা মানুষের উত্তম বিনিয়োগ। নিয়মিত দান-সদকায় জান্নাতের নিশ্চয়তা লাভ হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, দানশীল মানুষ আল্লাহর অতিশয় কাছে থাকেন, মানুষেরও নিকটবর্তী ও জান্নাতেরও কাছে থাকেন। জাহান্নাম তার থেকে দূরে থাকে।

আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন : আল্লাহর ভয়ে দু’ফোঁটা চোখের পানি ফেলতে পারা গোটা পৃথিবীর প্রশান্তি, পরিতৃপ্তি ও মুগ্ধতার চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। যার মূল্য হচ্ছে কেয়ামতের দিনে আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি। চোখের পানির কত মূল্য! এই চোখের পানি আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। দুধ দোহন করার পর তা যেমন আর গাভীর ওলানে ফিরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। আল্লাহর পথে জিহাদের ধুলোবালি এবং জাহান্নামের আগুন কখনো একত্র হবে না।

নামাজ আদায় : নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। হযরত হানজালা উসাঈদি (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পাবন্দির সঙ্গে আদায় করে উত্তমরূপে অজু করে সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে এবং এভাবে নামাজ আদায় নিজের ওপর আল্লাহর হক মনে করে তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেওয়া হবে।

আয়াতুল কুরসি পাঠ : পবিত্র কোরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এই আয়াতে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নাম ও গুণাবলিসমূহ আলোচিত হয়েছে আয়াতটি খুবই ফজিলতপূর্ণ। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে মানবজাতির অনেক কল্যাণ সাধিত হয় এবং বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে বাঁচা যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতবাসী হবে।

রোজা পালন : রোজা একটি কল্যাণকর ইবাদত। রোজা ইহকাল ও পরকালে মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। হজরত উসমান (রা.) বলেন আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যুদ্ধের মাঠে ঢাল যেমন তোমাদের রক্ষাকারী রোজাও তদ্রুরূপ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল।

জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া : দোয়া আল্লাহতায়ালার কাছে চাওয়ার অপূর্ব ও অতুলনীয় মাধ্যম। দোয়া মুমিনের প্রাপ্তি ও মুক্তির হাতিয়ার। দোয়া একটি ইবাদত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি তিন বার আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করে জান্নাত তখন বলে হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যে ব্যক্তি তিন বার আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চায় জাহান্নাম তখন আল্লাহর কাছে বলে হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। সফলতা ও মুক্তির জন্য শুধু নেক আমল বা সৎকর্মই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন গুনাহমুক্ত পবিত্র জীবন। আল্লাহ সবাইকে ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখার তাওফিক দিন। আমিন।
লেখক : ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট