মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সেমিনার

4

ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব’ শীর্ষক দিনব্যাপী বিভাগীয় সেমিনার বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজসেবক, চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১১ জেলার উপ-পরিচালক, ফিল্ড অফিসার, মাস্টার ট্রেইনার, ফিল্ড সুপারভাইজারদের সমন্বয়ে ২৯ জুন শনিবার সকাল ১০টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা এবং ডি আইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার জনাব সফিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নূরুল আমিন নূরী, অধ্যাপক, ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির। সেমিনারে উপস্থিত সুধিজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্লাহ, প্রিমিয়ার সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আবু তৈয়ব চৌধুরী। ফিল্ড সুপারভাইজার মো. জয়নাল আবেদিনের সঞ্চালনায় স্বাগত ব্যক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক জনাব ইউসুফ মিয়া। চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) তাঁর বক্তব্যে বলেন-আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে সারা বাংলাদেশে প্রকল্পটি সফল প্রকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। চলমান এ প্রকল্পটি ইতোমধ্যে ৬ষ্ঠ পর্যায় সমাপ্ত করে বর্তমানে ৭ম পর্যায়ে পদার্পণ করেছে। প্রকল্পটি উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। প্রকল্প পরিচালক বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প ১৯৯৩ সালে চালু করে এবং তা কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে বর্তমানে ৭ম পর্যায়ে চলমান রয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ পরিচালনা করা, মসজিদের ইমামদেরকে সম্পৃক্ত করে প্রাক-প্রাথামিক এবং ঝরে পড়া কিশোর-কিশোরী ও অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্কদের মাঝে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রকল্পের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১ম থেকে ৬ষ্ঠ পর্যায় পর্যন্ত সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৮ হাজার ৮০০ জনকে শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। এতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে এটি সর্বজন স্বীকৃত। প্রধান অতিথি বলেন- মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প অত্যন্ত জনচাহিদা সম্পন্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ প্রকল্প। ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কার্যক্রম যেমন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যে সকল উপাদান প্রয়োজন তার সকল কিছুই এর মধ্যে পরোক্ষভাবে নিহিত রয়েছে। সুতরাং প্রকল্পটি যাতে দীর্ঘমেয়াদী করা হয় এবং আর্থিক বরাদ্দ ও জনবল আরো বৃদ্ধি করা হয় এ ব্যাপারে সরকারের নিকট বিনীতভাবে সুপারিশ করছি। সভাপতি বলেন- শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সহজ উপায়ে সহীহ পদ্ধতিতে কুরআন শরীফ শিক্ষার পাশাপাশি নামায আদায়, নৈতিক উন্নয়ন, বিভিন্ন দু‘আ-মুনাজাত শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় চেতনা ও অনুশাসন লালন করছে এবং এটির প্রভাব তাদের পরিবার ও সমাজের উপর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রকল্পটি অনন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস।