মমতাকে দায়ী করে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

25

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের(আইপিএস) সাবেক কর্মকর্তা গৌরব দত্ত’র মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। খবর এনডিটিভির। কয়েক দিন আগে কলকাতার বিধাননগরে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন গৌরব। সেখান থেকে একটি সুইসাইড নোটও মেলে। তাতে লেখা ছিল অবসরকালীন বকেয়া মিটিয়ে না দিয়ে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন মমতা। এবার এ নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণের পালা শুরু হলো। মুকুল বলেন, ‘বাংলায় এই প্রথম কোনও একজন (প্রাক্তন) আইপিএস কর্মকর্তা নিজের মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী বা দলের নেতাকে দায়ী করলেন।’ ইতিমধ্যে সুসাইড নোটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে টাকা বাকি রাখা ছাড়া আরও একটি বিষয়ের উল্লেখ আছে। সেটি হচ্ছে, গৌরবকে ‘বাধ্যতামূলক অপেক্ষমাণ’ রাখা সংক্রান্ত। দীর্ঘ দিন অপেক্ষমাণ থাকার পর ১৯৮৬ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেন। তখন থেকেই তার ভাতা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেন গৌরব।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলেনি। তবে সূত্র বলছে, গৌরব যে সমস্ত বকেয়ার কথা জানিয়েছেন তার কোনোটাই তার প্রাপ্য নয় কারণ তিনি বাধ্যতামূলক অপেক্ষমাণ ছিলেন।
৯ বছর আগে ২০১০ সালে বরখাস্ত হন গৌরব। তার বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ আনেন এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী। তিনি বলেন, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় তার স্বামীকে মারধর করেছেন গৌরব। সেবার ৯ মাসের জন্য বরখাস্ত হন তিনি। ২০১২ সালে আবার তাকে ঘিরে বিতর্ক হয়।
সেবার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সল্টলেকের বাসায় সুইমিংপুলে হাতের কব্জি কেটে আত্মহত্যা করেন গৌরব। এই সময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। তিনি যখন বাসায় ফেরেন তখন তার স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে সুইমিংপুলে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।