ভিসানীতি সহজীকরণে আলোচনা হবে ডোনাল্ড লু’র সফরে

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে অর্থনৈতিক নানা সম্পর্কের বিষয়সহ ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ বা সহজীকরণে আলোচনা হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ সম্পাদিত ‘পদ্মা ব্রিজ: এন এপিক একমপ্লিশমেন্ট’ গ্রন্থ এবং হাসানুজ্জামান মাসুম রচিত ‘সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই’ দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীত উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ডোনাল্ড লু দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি।
ডোনাল্ড লু’র সফরের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি দিয়ে এ সম্পর্ককে যে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার কথা বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের যেই আসুন সেই ধারাবাহিকতাতেই আলোচনা হবে।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সহজীকরণ এবং র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সব নিয়েও আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমন্ডুকতাকে রুখে দিতে এবং দেশাত্মবোধ, উন্নয়ন ও মানবতাকে তুলে ধরতে প্রান্তিক জনপদসহ সারাদেশে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ দরকার। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম এবং অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গ্রন্থ ও দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীতটির ওপর আলোকপাত করেন। গবেষক ড. শিহাব শাহরিয়ার ও গীতিকার হাসানুজ্জামান মাসুম এ সময় বক্তব্য দেন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও আমাদের জাতির সক্ষমতার প্রতীক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডার আদালত প্রস্তাবিত পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে খারিজ করে দেওয়ার পর বিশ্বব্যাংক আবার অর্থায়ন করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা না বলে দিয়েছিলেন। উন্নয়নশীল কোনো রাষ্ট্রনেতার পক্ষে এই দৃঢ়তা প্রদর্শন সহজ নয়।
বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বাসায় এখনো ভারতীয় পণ্য রয়েছে। এসময় রসিকতা করে মন্ত্রী বলেন, কারো কারো ভারতীয় বউও রয়েছে।
ছোট ছোট দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জোটের মধ্যে সমন্বয় নেই, কোনো দল জোট থেকে চলে যায় আবার কোনো দল ভেঙে দুই-তিনটা হয়। জোটের পরিধি তাই কখনো বাড়ে, কখনো কমে। মির্জা ফখরুল সাহেব যদি তাদের জোটের সব দলের নাম বলতে পারেন, আমি খুশিই হবো।