ভারত বাঁধ খুলেছে কি-না, যোগাযোগ করছে সরকার

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় হঠাৎ ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ সরকার। সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের এক বৈঠক শেষে ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫০ উপজেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন। আট জেলার চার লাখ ৪০ হাজার ৮৪০ টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
উজানে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বর্ষা মওসুমের শেষে ভাদ্র মাসে দেশে হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েক নেতা ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বন্যার কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে।
বিষয়টি ভারত সরকারের নজরে এলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বাংলাদেশে বন্যার কারণ বলা হলেও বিষয়টি তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।
ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়া কিংবা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশে বন্যা কি না, সচিবালয়ে জানতে চাওয়া হয় ত্রাণ ও দুর্যোগ উপদেষ্টা ফারুকী আজমের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, এটার বিষয়ে যোগাযোগ হচ্ছে। সঠিকভাবে এ বিষয়ে এখন বলতে পারছি না এবং এটা শুনেছি উপরে বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে বিস্তারিত জানি না।
বাঁধ খোলা হয়েছে এটা পত্র-পত্রিকায় লিখেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে আসছে। সরকারিভাবে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।