বৈদ্যুতিক মিটারের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে গ্রাহকের অস্বস্তি নিরসনে সুজনের অনুরোধ

6

বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটারের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে সাধারণ গ্রাহকের অস্বস্তি নিরসনে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ২২ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে গ্রাহকের অস্বস্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
এ সময় সুজন বলেন, বিদ্যুতের চুরি রোধ এবং অতিরিক্ত বিল নিয়ে গ্রাহকের ভোগান্তি নিরসনে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর গ্রাহকের ভোগান্তি কিছুটা নিরসন হলেও বর্তমানে প্রিপেইড মিটারের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ গ্রাহকগণ। তাছাড়া প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জে ভোগান্তি, অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকগণ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা যায়। এতে করে গ্রাহকগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন এবং অযাচিত এসব ভোগান্তিগুলো গ্রাহকদের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ বিষয়ে জানা যায় যে, প্রতি মাসে বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে গিয়ে বিভিন্ন চার্জের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হলে এসব অতিরিক্ত চার্জ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া প্রতি মাসে একের অধিক বার প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে গেলেও বিভিন্ন চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ সাধারণ গ্রাহকদের। বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটারের এসব অভিযোগ নিয়ে গ্রাহকরা অস্বস্তিতে থাকলেও কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। গ্রাহকদের এসব অভিযোগ নিস্পত্তির কোন উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না। ফলত গ্রাহক অসন্তোষ বেড়েই চলছে। তাই বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটারের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করারও পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সকল গ্রাহকদের নিকট নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্বড়িৎ পদক্ষেপের ফলে সারাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়। লোডশেডিংয়ের অন্ধকার জগত থেকে পুরো বাংলাদেশ আলোয় উজ্জ্বল হতে শুরু করে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের ভিতর লুকিয়ে থাকা কতিপয় সরকার বিরোধী চক্র নানা ধরণের অপতৎপরতার সাথে জড়িত বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা মনে করি এদের কারণেই বিদ্যুৎ বিভাগের সাফল্য ম্লান হতে চলেছে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যুত অফিস থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে উৎখাত করা আজ সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটারের অতিরিক্ত চার্জ বন্ধ এবং গ্রাহকদের নানাবিধ ভোগান্তি নিরসনে ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বিজ্ঞপ্তি