বেনজীর-আজিজ দলের লোক নয় : কাদের

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

সাবেক আইজিপি এবং সাবেক সেনাপ্রধান দলের ‘লোক নয়’ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জ্যেষ্ঠতা এবং মেধা যাচাইয়ে তারা যে যার জায়গায় প্রধান হয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং ২৩ জুন দলের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় কাদের কথা বলছিলেন।
এ সময়ে আলোচনায় থাকা পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ যদি ভেতরে ভেতরে কোনো অপকর্ম করেন এবং সেটা যখন সরকারের কাছে আসে তখন তাদের বিচার করার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। তারা আওয়ামী লীগের নন। খবর বিডিনিউজের।
আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব বা প্রশাসনের বড় পদে কাউকে বসায়নি বলেও জানান কাদের।
আটজনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈন আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছে, কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। ভুলে গেছেন, আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র চোরাচালান, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়, দুর্নীতির মামলায় দÐপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সর্বত্রই একজন সৎ পলিটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।
বিএনপি শাসনামলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের (বিএনপি) সময় কেউ শাস্তি পায়নি। আপনাদের দলের নেতা নিজেই দুর্নীতিবাজ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লক্ষ্য করেছি, বিরোধীদল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় উনি এখন বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনি ইতিহাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণ’ দাবি করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এত কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ ও তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। এখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।
আ.লীগের সম্মেলন ২০২৫ সালের শেষে : আওয়ামী লীগের ২৩তম জাতীয় সম্মেলন আগামী বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে একই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করে। আমাদের দল- জন্মলগ্ন থেকেই দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা হয়। আমি তৃতীয়বারের সাধারণ সম্পাদক। আমাদের একটা সম্মেলন কেউ বলতে পারবে না, সময়রেখা অতিক্রম করেছে।
আমরা ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যেই জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন করি। আগামী সম্মেলনও ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হবে।
দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। তাতে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। আর ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।