বেতাগীর ভাঙা বিধ্বস্ত সড়কটি এখন নিশ্চিহ্নের পথে, সংস্কারের দাবি

3

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ‘দাশ পাড়া সড়ক’ দিয়ে একসময় বিভিন্ন রকম যানবাহন চলত। সংস্কারের অভাবে সড়কটি পার্শ্ববর্তী পুকুরসহ আশেপাশের বিলে ভেঙে পড়েছে। এতে এখন সড়ক দিয়ে একটি রিক্সাও চলতে পারে না। সড়কের ইট উঠে গিয়ে চরমভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। নানা আশ্বাসের পরও দীর্ঘ ২০ বছরেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। ফলে ভাঙা বিধ্বস্ত সড়কটি এখন অনেকটা নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের “দাশ পাড়া সড়ক” বহু বছরের পুরনো একটি রাস্তা। এটি একদিকে ঢেমির ছড়া তাজ মোহাম্মদ চৌধুরী কার্পেটিং সড়ক ও অন্যদিকে রজনী কান্ত সেন কার্পেটিং সড়কের সাথে সংযুক্ত। এটি রামগতি হাট, ঢেমিরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিপিনবিহারী পাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী সনাতনী পুরনো মন্দিরের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন দুটি সরকারি স্কুল ও হাট বাজারের জন্য ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণ ছাড়াও বহলপুর গ্রাম, পাল পাড়া, দাশ বাড়ী, মালাকার পাড়া, শীল পাড়া, ভরাডুপার বাড়ি, কুসুম পিয়ন বাড়ি, গৌরাঙ্গ বাড়ি, দাশপাড়া, মল্লিক পাড়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
স্থানীয় বাসিন্দা আইনজীবী জিকু মহাজন জানান, ২০০৫ সাল থেকে ধাপে ধাপে ৮-১০ বছরে কাঁচা মাটির সড়কটি ব্রিক সলিন হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের দিকে তাজ মোহাম্মদ সড়কের সংযোগস্থলে ৭০-৮০ ফিট ডাবল ব্রিক সলিন ও রজনী সেন সড়কে সংযোগস্থলে ২০২১ সালের দিকে ৩০০ ফিটের মত ডাবল ব্রিক সলিন হয়। কিন্তু মাঝ বরাবর এক কিলোমিটারের কাছাকাছি জায়গাটি দীর্ঘ ২০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি।
রূপম মহাজন নামে অন্য একজন বলেন, অবহেলার কারণে সড়কটির বহু অংশের স্মৃতিচিহ্ন মুছে গেছে। সড়কটি সংস্কারে ২০০২ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে এলাকার জনগণ বহুভাবে আবেদন অনুরোধ করে আসছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে গণসংযোগের সময় এই সড়কের অবস্থা দেখে এটি সংস্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন বর্তমান সাংসদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কিন্তু আজও তা আলোর মুখ দেখেনি। শিমুল দাশ নামে একজন বলেন, “মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের হাত ধরে আজ রাঙ্গুনিয়া বদলে গেছে। আশা করি উনার হাত ধরে অবহেলিত এই সড়কটিও উন্নয়ন হবে।
স্থানীয় অসিত নন্দী জানান, সড়কের বেহাল অবস্থা হওয়ায় একজন অসুস্থ রোগীকেও হাসপাতালে নিতে কোন গাড়ি যেতে পারে না। তবে সড়কটি সংস্কারের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মহোদয়কে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, সড়কটি আগে আমাদের আইডিভুক্ত ছিলো না। এটি এখন এলজিইডির আইডিভুক্ত করা হয়েছে। একটি প্রকল্পের মধ্যেও এটি সংস্কারের জন্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও আশা করি যত দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাহায্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে।