বুদ্ধের অহিংস বাণী অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান

3

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ২২ মে দুপুরে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও একুশে পদক প্রাপ্ত ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও তারুণ্যের প্রতীক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক মহাসচিব ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথেরো, চট্টগ্রাম সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাপাল মহাথেরো, চট্টগ্রাম বন্দর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. দীপংকর থেরো, চেমি কপিলাবস্তু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ তদন্ত দীপংকর মহাথেরো, ভদন্ত অগ্রলংকার থেরো, হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সাধনাজ্যোতি মহাথেরো, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জেবিএস আনন্দবোধি ভিক্ষু, আর্যমিত্র মহাথেরো, রাসেল বড়ুয়া,স্থপতি বিজয় তালুকদার, ব্যাংকার বিজয় বড়ুয়া, এডভোকেট সুজন বড়ুয়া, সঞ্চয় বড়ুয়া, এডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া, অনীল বড়ুয়া, সত্যজিৎ বড়ুয়া, ব্যাংকার সবুজ বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া, রণি বড়ুয়া, মিনটু বড়ুয়া, রুকেল বড়ুয়া। উদ্বোধকের বক্তব্যে ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, ‘বিশ্ব আজ মহা সংকটে ও অশান্তিতে। সমগ্র বিশ্ব যেন এক হাহাকারময়। অশান্ত বিশ্বে একমাত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব মহা কারণিক গৌতম বুদ্ধের অমৃত মৈত্রীবাণী অনুসরণের মধ্যে দিয়ে।’ হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের অমিয় শান্তির বাণী অনুসরণের মধ্যে আহবান জানান। অশান্ত বিশ্ব শান্ত ও সুন্দর করার ক্ষেত্রে বুদ্ধের অহিংস বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে।’ এছাড়াও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে ছিল সকালে ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধের অস্থি ধাতু ও কেশধাতু প্রদর্শন, সমবেত প্রার্থনা, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান, মধ্যাহ্ন ভোজন গ্রহণ। সন্ধ্যায় বুদ্ধ কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়। এদিনে ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। বিজ্ঞপ্তি