বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্মদিবস উদ্যাপিত

7

বীরকন্যা প্রীতিলতার ১১৪তম জন্মদিবসে পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবের সামনে প্রীতিলতার ভাস্কর্য্যে পুস্পক স্তবক অর্পন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয় ৫ এপ্রিল রবিবার সকাল ৯ ঘটিকায় বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত ড. জিনবোধি ভিক্ষু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান ফার্স্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উদ্দিন, মোাহাম্মদ ফরিদ, মাহোম্মদ জাকির হোসেন। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাপস চৌধুরী, রুবেল চৌধুরী, গিয়াস উদ্দীল, আবু তাহের, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, বিকাশ দাশ, উৎপল দাশ প্রমুখ। উক্ত পথসভায় বক্তারা বলেন, আমাদের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। যার জন্ম হয়েছিল, নারীদের জন্য অদম্য আদর্শ ও মাতৃভূমি রক্ষায় নারীর অকুতোভয় সংগ্রাম করার অনুপ্রেরণার এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকার জন্য। প্রীতিলতার বীরত্বগাঁথা, সংগ্রামী ধারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অদম্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাপানের ‘কামিকাযি’দের মাতৃভূমি রক্ষার কথা মনে করিয়ে দেয়। জাপানের কামিকাযিরা নিজের প্রাণের বিনিময়ে শত্রæর বিনাশ করতেন। আমাদের প্রীতিলতাও তাই করেছেন। বক্তারা আরো বলেন ইতিহাসবিদরা, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ১৯০৫ থেকে ১৯৩৫ সাল কে বিপ্লবের অগ্নিযুগ ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সেই অগ্নিযুগের প্রথম বিপ্লবী নারী শহিদ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার শহিদ হওয়ার পূর্বে যেসকল বিপ্লবী নারী নেত্রী ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে সন্মুখ যুদ্বে লড়াই করে শহিদ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম দেবী চৌধুরাণী, ঝাঁসীর রাণী লক্ষী বাঈ, তাঁদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বক্তারা। পরিশেষে বক্তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানান বীরকন্যা প্রীতিলতার স্মৃতি ধন্য ইউরোপিয়ান ক্লাবকে নামে জাদুঘর না রেখে বাস্তবে জাদুঘরে রুপান্তর করার জন্য।