বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চসিকের পাওনা ১৬৫ কোটি টাকা

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে গৃহকর বাবদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এসব বকেয়া গৃহকর আদায়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশল বিভাগের কাজের গুণগত মান রক্ষা, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা, দোকানভাড়া নির্ধারণে এলাকাভিত্তিক কমিটি, পুরনো বিল পরিশোধে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা পেয়ে বিভাগীয় প্রধানদের সাথে সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এসব সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্রকল্পের কাজ নিখুঁতভাবে পরিচালনা করতে প্রকৌশল বিভাগের সাথে আলাদা সভা, গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়ন, আয়বর্ধক কর্মকান্ড বৃদ্ধি করাসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নগরীর প্রধান সেবাসংস্থা হলেও ভাবমূর্তি সংকটে ভুগছে সিটি করপোরেশন। তাই সবার আগে নগরবাসীর কাছে সেবা দিয়ে ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পরিচ্ছন্নতাসহ সব ধরনের সেবামূলক কাজে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেক আনুতোষিকের টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে। বিভিন্ন খাত থেকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেলে উক্ত বকেয়ার কিছু টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীন পরিচালিত সিএনজি গ্যাস স্টেশন থেকে করপোরেশনের কোনো লাভ হচ্ছে না মর্মে জানিয়ে তা লাভজনক করার জন্য সভাপতির নিকট অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে সভাপতি বলেন, অনেকগুলো বিলই পুরাতন হওয়ায় তা পরিশোধের জন্য চাপ রয়েছে। তাছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ঋণমুক্ত করার জন্য কোন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে বিল দেয়ার সক্ষমতা আছে কী না এ বিষয়ে হিসাব বিভাগের মতামত নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি সভাকে জানান।
প্রকৌশল বিভাগের কার্যক্রম বিষয়ে সভাকে অবহিত করার জন্য প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হচ্ছে সড়ক মেরামত, অপরটি নগরীর আলোকায়ন নিশ্চিত করা। সড়ক মেরামতের বিষয়ে প্রকৌশল বিভাগে অভ্যন্তরীণ সভা করা হয়েছে। তিনি সাময়িকভাবে প্রয়োজনে পুরকৌশল বিভাগ থেকে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) (অ. দা.) ফরহাদুল আলমকে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে এবং ২০২২ সালে নিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলীদের একজনকে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রদানের জন্য সভাপতির নিকট অনুরোধ জানান।
প্রকৌশল বিভাগের কাজের সার্থে সম্পৃক্ততা থাকায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গাড়ির সাপোর্ট প্রয়োজন।এক্ষেত্রে বর্জ্য পরিবহনের জন্য ৩ টনের গাড়ির চেয়ে ১০ টনের গাড়ি হলে জ্বালানী সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী রবিবার থেকে প্রধান নির্বাহী ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা পরিচ্ছন্নতার বিশেষ অভিযানের কর্মকান্ড সরাসরি পরিদর্শন করবেন।