বিপ্লব বড়ুয়া আমিন নদভী রিজিয়াসহ আসামি ২০২

5

লোহাগাড়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভী, তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২০২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামীয় আরও ৩০০ থেকে ৫০০ জন নেতা-কর্মীকে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ডা. মিনহাজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির মদস্য ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনোয়ার কামাল, এরফানুল করিম চৌধুরী, সুরাইয়া হক লিলি, আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন, চুনতি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জুনু, মাদার্শা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিম উদ্দিন, এওচিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু ছালেহ এবং ডিভাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওন।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এ তোপের মুখে স্বৈরাচার অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন হলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিল নিয়ে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ ব্যাংক এশিয়ার সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওপর পৌঁছালে মামলায় উল্লেখিত এজাহারনামীয় ১ থেকে ১৫নং আসামিগণের প্ররোচণায়, অর্থায়নে ও তাদের নির্দেশে ১৬ থেকে ২০২ নং এজাহারনামীয় আসামীগণসহ ও অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীগণ উক্ত আনন্দ মিছিলের গতিরোধ করত: বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং উক্ত মিছিল ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত এলাকার সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য আসামিগণ ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং উপর্যুপুরি গুলি চালিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এছাড়া আসামিগণ পূর্বপরিকল্পিতাবে দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্র, লোহার রড, তরবারী, বর্শা, বর্শার ফলক ও আগ্নেয়াস্ত্র (হ্যান্ডগান, রাইফেল, শর্টগান) নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের পুরাতন থানা এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মোমেন হোসেন জয় বাদী হয়ে নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ২০২ জন এবং অজ্ঞাতনামীয় আরও ৩০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।