বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ জাগ্রত হয়ে থাকুক

5

বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১১৪তম জন্মবার্ষিকীতে বীরকন্যার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন মাস্টারদা সূর্যসেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
গত রবিবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপীয় ক্লাব প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ-চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান কুমার মিত্র, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পালিত, সদস্য সুকান্ত দত্ত, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ-চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন রিমন কান্তি মুহুরী, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ-চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মিনু রানী দেবী, বাগীশিপ-চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি রূপন মহাজন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ- পাহাড়তলী থানা শাখার সভাপতি অলোক কুমার দাশ, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চৌধুরী পিকলু, পাহাড়তলী মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হ্যাপী মজুমদার, রানী রাসমণি বারুনী স্নান কমিটির সভাপতি সদানন্দ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক বাবুল কান্তি নাথ, অর্থ সম্পাদক সীতানাথ ভৌমিক, অজিত নাথ প্রমুখ।
এই সময় শ্যামল কুমার পালিত বলেন, মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোগী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ। মাস্টারদা’র নির্দেশে তিনি ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ১৫ সদস্যের ১টি বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন। পরে তিনি ঔপনিবেশিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এবং গ্রেফতার এড়াতে সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য তাঁর এই মহান আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে চিরজাগরুক রাখতে তিনি পাহাড়তলী ইউরোপীয়ান ক্লাবকে বীরকন্যা প্রীতিলতা স্মৃতি মিউজিয়ামে রূপান্তরের জোরদাবী জানান। তাঁর মত শত শহীদের আত্মাহুতির পথ ধরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।