বিএনপি আবারও মাঠে নামছে

2

এম এ হোসাইন

রাজপথে আন্দোলন বা নির্বাচন-সবখানেই একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদে পরিবর্তন এনেও গড়ে তুলতে পারেনি সফল আন্দোলন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তাই আবারও হাত দিয়েছে দল পুনর্গঠনে। দলকে চাঙা করতে ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে আবার রাজপথে নামছে দলটি। এবার মূল দাবি, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নগরের নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। ইতিমধ্যে প্রশাসনের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং সমন্বয়কারী হিসাবে আছেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি সফল করতে গতকাল প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন করেছে নগর বিএনপি। তবে প্রস্তুতি সভায় বিএনপির একাংশের নেতাদের দেখা যায়নি।নগর বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশের বিষয়টি চিঠি দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এখনো প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। পার্টি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়কে সমাবেশ হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি থাকবেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের গতি ফেরাতে আর নতুন কর্মসূচি সফল করতেই ঢাকাসহ ৪ মহানগর ও যুবদলের কমিটিসহ নানা ইউনিটের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সরকার পতন আন্দোলন সফল করতে নতুন কমিটিতে নেওয়া হবে ত্যাগী ও যোগ্যদের। যুবদলের কেন্দ্র ছাড়াও বিলুপ্ত হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমের কমিটি। একইসঙ্গে বিলুপ্ত করা হয় বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহŸায়ক কমিটি। সবশেষ ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নানা পদে আনা হয়েছে রদবদল।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের প্রয়োজনে যেকোনো সময় কমিটি বিলুপ্ত করা অস্বাভাবিক নয়। দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে শিগগিরই আরও কিছু কমিটি বিলুপ্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএনপির। নতুন করে সাজানো হবে নেতৃত্ব। সফল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন নেতাদের নিয়েই গঠন করা হবে ইউনিটগুলো।