বাস্তবসম্মত বাজেট তবে লক্ষ্যমাত্রা আদায় কঠিন হবে

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য বলে জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। তবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায় করা অনেক কঠিন হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতি বছর যখন বাজেট হয়, গত পাঁচ দফায় আমরা দেখেছি, ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাজেট বেড়েছে। এবার চার দশমিক শতাংশ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য। যদি আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, আমি আশা করি, এটা বাস্তবায়নযোগ্য।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ইজ ভেরি ভেরি সেনসিটিভ। এটা এসেনশিয়াল কমোডিটিতে ১০ দশমিক পাঁচ এবং অন্যান্য জায়গায় ১০ দশমিক ছয়। এটাকে ছয় দশমিক পাঁচে আনার জন্য এবারের বাজেটে প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমি মনে করি, অ্যাম্বিসাস কোনো প্রজেক্ট না নিলে এবং যে প্রজেক্টগুলো নেওয়া হচ্ছে সেগুলো যদি বাস্তবায়ন করা যায়, সবাই মিলে যদি কাজটা ঠিকভাবে করা যায় তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এবারের বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা পূর্বের ন্যায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এটিকে আমরা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। এছাড়া অগ্রিম আয় কর (এআইটি) এবং অগ্রিম কর (এটি) নিয়ে ব্যবসায়ীরা অনেকদিন যাবত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এবারের বাজেটেও সেটি রাখা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব করছি এ দুটি প্রত্যাহারের বিষয় সরকার বিবেচনা করবে।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ ও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এটি আদায় করা অনেক কঠিন হবে। যদি করতে হয় তাহলে করের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় এটি সম্ভব হবে না বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা বাজেট ঘাটতির প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ। এত বড় অংকের ঋণ সরকার গ্রহণ করলে আমরা ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে অসুবিধায় পড়তে হবে। তখন ব্যবসায়ীদের মূলধন যোগান দিতে বেগ পেতে হবে। ফলে আমরা প্রস্তাব করছি অভ্যন্তরীণ নয়, বিদেশী উৎস থেকে ঋণগ্রহণ করলে সার্বিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।