বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক

8

বান্দরবান প্রতিনিধি

টানা বর্ষণে রাস্তার উপর পাহাড়ধসে পড়ে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার প্রায় ৮ ঘন্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের উপর ধসে পড়লে থানচির সাথে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ শুরু করে। প্রায় ৮ ঘন্টা পর বান্দরবান-থানচি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মূৎসুদ্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টানা বৃষ্টিতে বান্দরবান থানচি সড়কে পাহাড়ধসে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ধসেপড়া মাটি সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকালে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানিও নেমে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি এলাকায় পাহাড়ধসে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ধসেপড়া মাটি সরানো হয়। পরে প্রায় ৮ ঘন্টা পর বান্দরবান-থানচি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমরু এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সীমান্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়াও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ।
এদিকে পানিবন্দী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন। স্থানীয়রা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়াও তুমরু এলাকায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দী বাসিন্দাদের।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ঘুমধুম-তুমব্রু পানিবন্দী বাসিন্দাদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান ও নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাহাড় ধসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে।