বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর খুন যুবকের মৃত্যুদন্ড

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে নয় বছর আগে বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর খুন করার মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।
গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাবিবুর রহমান আজাদ।
দন্ডিত মো. জালাল (৩৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি পোশাকশ্রমিক। কাজের সুবাধে নগরীর চান্দগাঁও থানার শহীদ কলোনিতে থাকতেন তিনি।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ মার্চ আসামি জালালের হাত ধরে চট্টগ্রাম শহরে আসেন বাকপ্রতিবন্ধী ওই নারী। তার বাড়িও টেকনাফ উপজেলায়। পরিচিত হওয়ায় জালাল ওই নারীকে শহরে এনে তার নিজের ভাড়া বাসায় থাকতে দেন। বাসায় জালালের স্ত্রীও থাকতেন। পরে তিনি ওই নারীকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। একই বছরের ১৯ মার্চ ওই নারী চাকরিতে না যাওয়ায় এবং বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন জালাল।
এরপর ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। জালাল ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ জালালকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম নারীর বাবা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ জালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাবিবুর রহমান আজাদ জানান, আসামি জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জালাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।